রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়ার পথে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল অসমের বাসিন্দা এক  যুবকের। লকডাউনে কর্মহীন হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন অসমের ৬ যুবক। কাজের তাগিদেই ভিনরাজ্যে পাড়ি দিতে গিয়ে মৃত্যু হয় যুবকের। মৃতের নাম অঙ্কুরজ্যোতি গগৈ। বয়স আনুমানিক ২১ বছর। মৃত্যুর কারণ ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ধূপগুড়ি রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকার ঘটনা।


অসমের লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা ছয় যুবক গত বছর লকডাউনে বাড়ি ফিরেন। এরপর বাড়িতে ফিরে সেরকম কাজকর্ম না থাকায় করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই ফের ভিনরাজ্যে পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো ডাউন গুয়াহাটি ব্যাঙ্গালোর এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন তাঁরা। মাঝে ট্রেনের প্যান্ট্রিকারে থাকা যুবকদের সাথে বচসা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধূপগুড়ি রেলস্টেশন পার হতেই ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয় অঙ্কুরজ্যোতির। তাঁর সঙ্গে থাকা বন্ধুরা ট্রেনের চেন টানলে তা দাঁড়িয়ে পড়ে। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আরপিএফ ও রেলের আধিকারিকরা। এদিকে মৃতের সঙ্গে থাকা যুবকদের অভিযোগ, হয়ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে অঙ্কুরকে। যে কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ঘটনার তদন্তে নেমেছে রেলপুলিশ।


অন্য একটি ঘটনায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জলপাইগুড়ির বানারহাটের দুরামারি এলাকা। বানারহাট থানার অন্তর্গত দুরামারি চন্দ্রকান্ত স্কুলের মাঠে ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় ক্লাবের উদ্যোগে। 


মহিলা ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মারপিট, পুলিশের সঙ্গে বচসা-ধাক্কাধাক্কির জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তেজিত জনতা চেয়ার ও বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বানারহাট থানার পুলিশ। জানা গেছে, দুরামারি চন্দ্রকান্ত স্কুলে ৮ দলীয় মহিলা ফুটবল খেলার আজ দ্বিতীয়  দিন ছিল। এদিন কোচবিহার এবং বিন্নাগুড়ি দুটি মহিলা ফুটবল টিম এসেছিল। দর্শকদের অভিযোগ, কুড়ি টাকা দিয়ে টিকিট কেটে সেই খেলা দেখানো হচ্ছিল। কিন্তু খেলা ছিল নিম্নমানের। এই অভিযোগ তুলে খেলার হাফটাইম হওয়ার পর দর্শকরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। কমিটির সদস্য এবং দর্শকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। উত্তেজিত দর্শকরা চেয়ার থেকে শুরু করে বাঁশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বানারহাট থানার পুলিশ বাহিনী।