রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : বিসর্জনের সন্ধেয় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri)। মালবাজারের মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় হড়পা বান নিখোঁজ প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন। মৃত তিন জন, জানালেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা। প্রশাসন সূত্রে খবর, মালবাজার শহর ও চা বাগান সংলগ্ন অঞ্চল থেকে বেশ কিছু পুজো কমিটি মাল নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্যে এসেছিল। তখনই ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। উদ্ধারকাজের জন্য নামানো হচ্ছে এনডিআরএফকে (NDRF)। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার।


ঠিক কী হয়েছে


বিজয়া দশমীর দিনে গোটা রাজ্যের মতোই ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদীতে চলছিল প্রতিমা নিরঞ্জন। বিসর্জনেই সময়ই ধেয়ে আসে হড়পা বান। নিমেষে তছনছ করে দেয় সব কিছু। রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ মাল এলাকার বিভিন্ন মণ্ডপের ও বিভিন্ন চা বাগানের পুজোর প্রতিমা নিয়ে আসা হয়। সেই সময়ই মাল নদীতে হঠাৎই আসে হড়পা বান। যা ভাসিয়ে নিয়ে যায় অনেককে। শিশু কোলে মহিলা সহ মোট ৩০ থেকে ৪০ জনের নিঁখোজ হয়ে যায় জলের তোড়ে। যে দুর্ঘটনার পরই সেখানে ছুটে আসে এনডিআরএফ। রাতের দিকে অন্ধকার থাকায় প্রথমে কিছুটা উদ্ধারকাজ ব্যাহত হলেও পরে আলোর ব্যবস্থা করে জোরকদমে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ইতিমধ্যে অনেকেই উদ্ধার হলেও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু।


'৬ জনের মৃত্যু' 


প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও ৩ জনের মৃত্যুর খবরের কথা জানানো হলেও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন মালের তৃণমূল বিধায়ক বুলুচিক বরাইক। রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ দুর্ঘটনার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন বলেও জানান মালের তৃণমূল বিধায়ক। তিনি জানিয়েছেন, বিসর্জনের সময় তখন নদীর কাছাকাছি এলাকায় প্রায় হাজার খানেক লোক উপস্থিত ছিলেন, যে সময় হড়পা বানে অনেকে ভেসে যান। সিকিমের দিকে বৃষ্টির জেরে এমনটা হয়েছে পাহাড়ি নদীতে। ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানিয়েছেন, স্থানীয় এলাকায় বৃষ্টি না হলেও সিকিম সংলগ্ন পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টির জেরে একসঙ্গে অনেকটা জল এসে পড়ায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। অনেককে ইতিমধ্যে উদ্ধার করা গেলেও দুর্ভাগ্যবশত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।


আরও পড়ুন- 'জানিয়েই বাদ', সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটি থেকে বাদ পড়ে বিস্ফোরক সুদীপ