আশাবুল হোসেন, কলকাতা : বিধানসভায় পিএসি-র বদলা সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটি। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী 'জানিয়েই' বাদ দিয়েছেন বলে বিস্ফোরক দাবি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল সাংসদের দাবি, পিএসসি-র সহ বিধানসভার মোট ৯ টি কমিটির চেয়ারম্যানের পদ বিজেপি নেয়নি বলেই তাঁকে জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে গোটা বিষয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। 


সংসদীয় কমিটিগুলি পুনর্গঠিত করে খাদ্য ও উপভোক্তা সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে (Sudip Banerjee)। যার জেরে এই মুহূর্তে সংসদের কোনও কমিটিরই চেয়ারম্যান পদ নেই তৃণমূলের। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় বসানো হয়েছে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে (Locket Chatterjee)। যে প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তৃণমূল সাংসদ।


'পিএসি-র কথা বলে জানিয়ে বাদ'


সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে বাদ পড়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, 'আমাকে তথা তৃণমূলে যে রাখা হবে না সে ব্যাপারে সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী আমাদের জানিয়েছিলেন। তৃণমূল পরিচালিত সরকার বিধানসভায় বিজেপিকে কোনও স্থায়ী কমিটিতে স্থান দিচ্ছে না বলেছিলেন। বিশেষ করে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি। তাই আমরা আপনাদের কোনও কমিটি দেব না।'


সংসদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দলকে বঞ্চনা


যে প্রসঙ্গে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, 'গোটা বিষয়টা রাজ্য বিধানসভার স্পিকারকে জানিয়েছিলাম। উনি বললেন সম্পূর্ণ অসত্য তথ্য। ৯ টি স্ট্যান্ডিং কমিটির পদ দেওয়া হয়েছে, আর পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে তো বিজেপির নির্বাচিত বিধায়ককেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। স্পিকার মহোদয়ের বক্তব্য তার পরে তিনি কোন দলে থাকছেন, না চলে যাচ্ছেন, সেটা দেখা তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। পিএসসি-র দায়িত্ব না পেলে কোনও কমিটির দায়িত্ব-ই নেব না জানিয়ে তারা কোনও কমিটিরই দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছে। এটা তাঁদের ব্যাপার। কিন্তু তৃণমূল তো এরকম কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তৃণমূলই একমাত্র দল যাদের লোকসভা, রাজ্যসভা মিলিয়ে ৩৫ জন সাংসদ রয়েছে। দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দলের থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে পদ। সংসদীয় কাঠামো যেভাবে চলা উচিত, সেভাবে চলছে না। '



গতকাল বদল প্রসঙ্গে  রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য  বলেছিলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের তো একমাত্র বিরোধী দল বিজেপি, কিন্তু পিএসসি চেয়ারম্যানের পদ তো আমাদের নেই। নিজের বিধানসভা ক্ষেত্রে কাজ করতে পারেন না বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে ঠিকমতো কর্মসূচি পালন করতে পারেন না। তবে পিএসি-র সঙ্গে এটার সামঞ্জস্য খোঁজার কোনও মানে নেই। করা যেতে পারে বলেই করা হয়েছে বদল।'


আরও পড়ুন- বিধানসভায় পিএসি-র পাল্টা? সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির মাথা থেকে সুদীপকে সরিয়ে বসানো হল লকেটকে