সনৎ ঝা, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির সরস্বতীপুরে জঙ্গলে আগুন লাগানো রুখতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বন কর্মীরা! আহত হয়েছেন বিট অফিসার সহ ৪ জন। গজলডোবা মিলনপল্লি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বন দফতর। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।


জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে শিকারের চেষ্টা। আগুন লাগানো আটকাতে গেলে বনকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রেঞ্জে। বন দফতর সূত্রে খবর, গত কয়েক দিন ধরে বৈকুণ্ঠপুর রেঞ্জের সরস্বতীপুরে চোরাশিকারিরা জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে শিকারের চেষ্টা করছিল। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আগুন লাগানো আটকাতে যান বন কর্মীরা। অভিযোগ, সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আহত হন সরস্বতীপুরের বিট অফিসার সহ ৪জন। 



জলপাইগুড়ির সরস্বতীপুরের বিট অফিসার মনোরঞ্জন রায় বলেন, " খবর পেয়ে যায়। তখন দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে।" ঘটনায় গজলডোবার মিলনপল্লি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বন দফতরের তরফে। পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।


এই চোরাশিকারিরের ঘটনা নতুন নয়। এমনকী এভাবেই পশু মেরে চলে পশুপাচারও। সম্প্রতি যেমন হাসনাবাদ এলাকা থেকে কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের দুটি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কালো ভাল্লুক শাবক পাচার হচ্ছিল। শুক্রবার খবর পেয়েই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাসি চালিয়ে ভাল্লুক শাবক পাচার রুখে দিল পুলিশ। 


জানা গিয়েছে, শুক্রবার পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে যে বসিরহাট (Basirhat) সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ভাল্লুক (Rare Beer) পাচার হচ্ছে। গোপন সূত্রে এই খবর পাওয়া মাত্রই অপারেশনে নামেন পুলিশকর্মীরা। বসিরহাট জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ বসিরহাট সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাসি চালাতে শুরু করে। কিন্তু তাতেও কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না। অবশেষে সন্ধেবেলা নাগাদ তাঁদের কাছে খবর আসে যে, হাসনাবাদের মুরারিশা ঘোষ পাড়া এলাকা দিয়ে ভাল্লুক শাবক পাচার হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ।


জানা যায়, রাত নটা নাগাদ আচমকাই সেখানে পুলিশ হানা দিলে পাচারকারীরা তাঁদের দেখেই ভাল্লুক শাবকদুটিকে ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাল্লুক শাবকদুটিকে উদ্ধার করে রাত পৌনে একটা নাগাদ পুলিশকর্মীরা বসিরহাট বন দফতরের হাতে তুলে দেন। রাতেই ভাল্লুক শাবকদুটিকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানকার কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ভাল্লুক পাচার কাণ্ডের সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।