রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: হিমঘরে বন্ড পাওয়া নিয়ে ধুন্ধুমারকাণ্ড জলপাইগুড়িতে (jalpaigurir)। হিমঘরে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল চাষিদের বিরুদ্ধে। না জানিয়েই নিয়ম বদল করা হয়েছে, পাল্টা অভিযোগ চাষিদের।
রাজ্য সড়ক অবরোধ! অফিসের ভিতরে ভাঙচুর! আসবাবপত্র বাইরে এনে ধরিয়ে দেওয়া হল আগুন! আলুর রাখার বন্ড পাওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমারকাণ্ড জলপাইগুড়িতে। হিমঘরের অফিসে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল চাষিদের বিরুদ্ধে।
হিমঘর কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রশাসনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, আলু রাখার বন্ড পেতে গেলে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, জমির কাগজপত্র দেখাতে হবে চাষিদের।অন্যদিকে চাষিদের অভিযোগ, আগে শুধুমাত্র আধার কার্ডের বিনিময়ে বন্ড দেওয়ার কথা থাকলেও, পরে না জানিয়েই নিয়ম বদলানো হয়েছে।
এই নিয়েই বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার বেঁধে যায় জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাহাদুর হিমঘরে। আধারকার্ডের বিনিময়ে বন্ড না দেওয়ায়, প্রথমে জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ি রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন আলু চাষিরা।
জলপাইগুড়ির বিক্ষোভকারী আলু চাষি নির্মল রায় বলেন, ''কিছুদিন আগে এসডিও সাহেব এসেছিলেন, সেখানে আলোচনা হয়, আধার কার্ডের মাধ্যমে আলুর বন্ড বিতরণ করা হবে। হঠাৎ করে গতকাল সন্ধেয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, জমির কাগজপত্র- কিষাণ কার্ড লাগবে। কিন্তু আলুচাষিদের সঙ্গে কি কথা হয়েছিল? কর্তৃপক্ষ আমাদের বলতে পারেনি।''
আধার কার্ডের বিনিময়ে বন্ড দিতে না চাওয়ায়, চাষিরা অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ হিমঘর কর্তৃপক্ষের। লন্ডভন্ড করে দেওয়া হয় কাগজপত্র। আসবাবপত্র বাইরে নিয়ে এসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
হিমঘরের কর্মীদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। জলপাইগুড়ির বাহাদুর হিমঘরের মালিক বিনিত খরিয়া বলেন, ''প্রশাসনের নির্দেশে আজ সকাল থেকে বন্ড দিতে বলা হয়েছিল পঞ্চায়েত ধরে ধরে। সেখানে আমরা দশটা কাউন্টার করি, কিন্তু গতকাল সন্ধে থেকে কিছু লোকজন, হিমঘরের বাইরে হইচই করে, বলে এই নিয়ম মানবে না। আজ হামলা করে। ভিতরে ঢুকে আসবাব বাইরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়, কর্মীদের মারধর করে। একজন কর্মী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।''