সনত্‍ ঝা, জলপাইগুড়ি: নদীর চরের জমি দখল করে বিক্রি করার ছক জমি মাফিয়াদের। জমির দাম যাতে পাওয়া যায়, তার জন্য নদীর ওপর বেআইনিভাবে বানিয়ে ফেলা হল লোহার সেতু। নজরে আসতেই সেই সেতু ভাঙল স্থানীয় প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ঠাকুরনগর-জলডুমুরে। 


বেআইনি সেতু:
রাজ্যে হামেশাই জমি দখলের অভিযোগ ওঠে। কখনও সরকারি জমি কখনও আবার নদীর পাড়ের জমি দখলের অভিযোগ ওঠে। এখানে জমি দখলের পর আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ওই জমি যাতে বেশি দামে বিক্রি করা যায়। তার জন্য নদীর উপর সেতুও বানিয়ে নিয়েছিল তারা। যা গোটাটাই অবৈধ। বৃহস্পতিবার ভেঙে দেওয়া হয়েছে বেআইনি লোহার সেতু।


কোথায় জমি দখল:
জলপাইগুড়ির ঠাকুরনগরে সাহু নদী গতিপথ বদল করায় সেখানে তৈরি হয়েছে চর। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নদীর ওপারে চরের জমি দখল করা হয়েছে। মূল জমি থেকে চরের জমিতে যোগাযোগের জন্যই তৈরি করা হয়েছিল বেআইনি লোহার সেতু। যাতে ওই সেতু দিয়ে যাতায়াতের সুবিধা দেখিয়ে চরের জমি মোটা দামে বিক্রি করা যায়। সেতু তৈরি হয়ে যাওয়ার পর খবর পেয়ে টনক নড়ে প্রশাসনের। বৃহস্পতিবার পুলিশ নিয়ে গিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় সেতু। সেতু ভাঙার সময় স্থানীয় কয়েকজন যাতায়াতের অসুবিধার কথা বলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু নিউ জলপাইগুড়ি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী সেই বাধা মানেনি। 


কর্তৃপক্ষের দাবি:
ডাবগ্রাম ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সুধা সিংহ রায় বলেন,  'এতদিন কেউ অভিযোগ করেনি। আমরা আপত্তি করি।  নজরে আসার পর ভেঙে দেওয়া হল।' রাজগঞ্জের বিডিও পঙ্কজ কোনার বলেন, 'অভিযোগ এসেছে। তারপরেই ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় কারা জড়িত তার তদন্ত করা হবে।' 


রয়েছে প্রশ্ন:
স্থানীয় সূত্রে দাবি, প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছিল এই লোহার সেতু। যা দিয়ে চারচাকা গাড়ি যাতায়াতের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু এই সেতু তো একদিনে তৈরি হয়নি। প্রশাসনের নজরের আড়ালে কীভাবে আস্ত সেতু বানানো হল, কারাই বা বানাল? প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের। 


আরও পড়ুন: পুলিশি অভিযানে পর্দাফাঁস অস্ত্র কারখানার, উদ্ধার বিপুল অস্ত্র