রাজা চট্টোপাধ্যায়,  জলপাইগুড়ি: চিতাবাঘকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়ালো জলপাইগুড়ির বানারহাট থানার গেন্দ্রাপাড়া চা বাগানে। বুধবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে সাতটা নাগাদ গেন্দ্রাপাড়া চা বাগানে একটি চিতাবাঘকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। গাড়ির হেডলাইটে চিতাবাঘটিকে দেখে সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেন বাগানের লেবার ওয়েলফেয়ার অফিসার বিশু দাস। 


শ্রমিক মহল্লায় খুব কাছাকাছি একটি চিতাবাঘকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় বানারহাটের গেন্দ্রাপাড়া চা বাগানে। জায়গাটি ছিল শ্রমিক মহল্লার কাছাকাছি এবং ম্যানেজার বাংলো সংলগ্ন। বাগান কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা গিয়েছে,  বাগানে একটি নয়, তিনটি চিতাবাঘ ঘোরাফেরা করছে। গত দু-তিন দিন ধরেই তাদের দেখা যাচ্ছে বাগানে। খবর পেয়ে বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ডলাইফ রেঞ্জ এর কর্মীরা বাগানে ছুটে এসে পটকা ফাটিয়ে চিতাবাঘ তাড়ানোর চেষ্টা করছেন। বাগানে খাঁচা পাতার আবেদন জানিয়েছে বাগান কর্তৃপক্ষ।


উল্লেখ্য, কয়েকদিন আলিপুরদুয়ারের গতিবাড়ি এলাকায় জঙ্গল লাগোয়া নিকাশি নালার মধ্যে উদ্ধার হয় একটি পূর্ণবয়স্ক হাতির দেহ।  বনদফতর সূত্রে জানানো হয়েছিল, হাতিটির মৃত্যুর কারণ জানতে করা হবে তদন্ত ।


অন্যদিকে, জলপাইগুড়ির মালবাজার এলাকায় ভোরবেলা গরুমারা অভয়ারণ্য থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল একটি বাইসন। বাইসনটিকে দেখেই ছোটাছুটি শুরু করে এলাকার মানুষজন। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই সময় ফুল তুলতে বেরিয়েছিলেন মালবাজার শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সীতাদেবী প্রসাদ। বাইসনের হামলায় মৃত্যু হয় তাঁর। 
শেষপর্যন্ত বন দফতরের কর্মীরা এসে বাইসনটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে কাবু করেন। বনদফতরের তরফে মৃতার পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হলেও ঘটনায় ক্ষুব্ধ ও আতঙ্কিত  হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ।


ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়িতে হাতির তাণ্ডবের খবর কয়েকদিন আগে সামনে এসেছিল। কয়েক দিন ধরে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল হাতির দল। সেই দলেরই এক দাঁতালের হামলায় প্রাণ গিয়েছিল বেলপাহাড়ির কপাটকাটা গ্রামের এক বৃদ্ধার। ভোররাতে হঠাৎই জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল ৪০-৪২টি হাতির একটি দল। গ্রামের মধ্যে ঢুকে ভাঙচুর চালাতে শুরু করে একাধিক বাড়িতে। ভেঙে পড়ে একাধিক মাটির বাড়ি। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেইসময় ঘরের মধ্যে ঘুমোচ্ছিলেন বছর ৬৫-র বৃদ্ধা ফুলমনি মাণ্ডি।মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে মৃতার পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি মৃত বৃদ্ধার পরিবারের এক জনকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।