রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) হাটের ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স-জালিয়াতি চক্রের পর্দাফাঁস। গ্রেফতার জেলা পরিষদের কর্মী। সচিবের সই জাল করে ভুয়ো লাইসেন্স বানিয়ে মোটা টাকায় বিক্রির অভিযোগ। বাম আমলে নিয়োগ অভিযুক্তের, দাবি তৃণমূলের। দুর্নীতি নিয়ে পাল্টা তোপ বামেদের।


কী অভিযোগ:
জেলা পরিষদের সচিবের সই জাল করে জেলা পরিষদ পরিচালিত হাটের ব্যবসায়ীদের জাল লাইসেন্স বিক্রির অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়িতে। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে জেলা পরিষদের এক গ্রুপ সি কর্মীকে। প্রশাসন সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি জেলায় ২২টি হাট পরিচালনা করে জেলা পরিষদ। সেই হাটে ব্যবসা করার জন্য ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স নিতে হয় জেলা পরিষদের কাছ থেকে। ডুয়ার্সের ওদলাবাড়ি, মালবাজার, মেটেলিতে হাটবাবু ছিলেন জেলা পরিষদের কর্মী শুভ্রসারথি ভৌমিক। হাটের লাইসেন্সের টাকা জেলা পরিষদে জমা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাঁর। অভিযোগ, হাটে বসার জন্য ব্যবসায়ীদের জাল লাইসেন্স বানিয়ে দিতেন জেলা পরিষদের ওই কর্মী। সেই কাজেই জেলা পরিষদের সচিবের সই জাল করা হত বলে অভিযোগ। প্রশাসন সূত্রে খবর, বিভিন্ন ঘটনা দেখে সম্প্রতি সন্দেহ হয় জেলা পরিষদের সচিবের। তারপরেই চলতি বছরের মে মাসে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তারপরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সেই তদন্তেরই সূত্র ধরে বুধবার জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ওই কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 


শুরু রাজনৈতিক তরজাও:
এই দুর্নীতির ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। ওই অভিযুক্তের নিয়োগ বাম আমলে হয়েছে বলে দাবি তুলেছে তৃণমূলের (TMC) একটি অংশ। পাল্টা তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে বামেরা। এই নিয়ে মুখ খুলেছেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ সভাপতি। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সহ সভাপতি দুলাল দেবনাথ বলেন, 'বাম আমলে ডাকাত পরিষদ ছিল। ভুরি ভুরি অভিযোগ ছিল। তৃণমূল আসার পরে হাটে উন্নয়ন স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।'


বামেদের তোপ:
পাল্টা মুখ খুলেছেন বামেরাও। সিপিএমের (CPIM) জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, 'জেলা পরিষদের জমি বিক্রি করছে শাসক-নেতারা। এটা জেলা পরিষদ জানে না নাকি। এই কাজ উনি একা করতে পারেন না। এর সঙ্গে দলবল যুক্ত রয়েছে।'


অভিযুক্ত জেলা পরিষদ কর্মীকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা আদালত।


আরও পড়ুন:  চাবি 'ছিল না', ৪০ মিনিট পর ঢুকল সিবিআই