রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে (Sadar Hospital) করোনার (Corona) থাবা। আক্রান্ত ডেপুটি সুপার (Deputy Super) অনির্বাণ ঘোষাল-সহ পাঁচজন নার্স (Nurse)। হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নস্কর জানিয়েছেন, আরও অনেকের উপসর্গ থাকায় কোভিড পরীক্ষার (Covid19 Test) জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, কোভিড হাসপাতালে চিকিত্সা পরিষেবা সামাল দিতে আজ থেকে ৩২ জন অস্থায়ী নার্স নিয়োগ করা হচ্ছে। করোনার বাড়বাড়ন্তে নতুন করে অস্থায়ী সাফাই কর্মী নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন হাসপাতালে ছবিটা একই। দলে দলে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালই নয়, রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই তালিকায় রয়েছে আক্রান্ত কোচবিহারের MJN মেডিক্যাল কলেজের একজন সহকারী সুপার, ৩ চিকিৎসক ও দু’জন নার্স। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালের ১৪ জন চিকিৎসক পড়ুয়া ও ৩ জন নার্স। সংক্রমিত হয়েছেন, জলপাইগুড়ি জেলার ৫ জন নার্স। আসানসোলে জেলা হাসপাতালের ২ চিকিৎসক-সহ ১০ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত। এছাড়াও, করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলার ৩ জন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ ১২ জন স্বাস্থ্যকর্মী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন, কৃষি ভবন কোভিড হাসপাতালের সুপার ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ৬ চিকিৎসক। পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের ৩ কর্মীরও করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। পোলবা গ্রামীণ হাসপাতালের ২ চিকিৎসক-সহ বেশ কয়েকজন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনা। রকেটের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজারের দোরগোড়ায়। তা সত্ত্বেও সমাজের একশ্রেণির মানুষ এখনও বেহুঁশ। রাস্তা ঘাট হোক কী, বাজার। সব জায়গাতেই মাস্ক ছাড়াই অবলীলায় ঘুরছেন অনেকেই। কোনও কিছুতেই যেন তাঁদের হেলদোল নেই। এই অবস্থায় নজরদারি চালাতে গতকাল মঙ্গলবার পথে নামেন জলপাইগুড়ির মহকুমাশাসক সুদীপ পাল। সঙ্গে ছিলেন জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য সন্দীপ মাহাতো। যাঁদের মাস্ক নেই, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন তাঁরা।