জলপাইগুড়ি: মালবাজারে (Malbazar) হড়পা বানকাণ্ডে আজ ঘটনাস্থলে বিজেপির (BJP ) ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল। দেখা করবে স্বজনহারা পরিবারের সঙ্গেও। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি বিজেপির, পাল্টা তৃণমূল (TMC)।  মাল নদীতে বিসর্জনে বিপর্যয়। মালবাজারে হড়পা বানে মৃত্যু শিশু-সহ ৮ জনের। বাতিল জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) পুজো কার্নিভাল, ঘোষণা জেলা প্রশাসনের।


স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে ১০ বছরের এক বালিকা রয়েছে। গতকাল মাঝরাত পর্যন্ত চলে উদ্ধারকাজ। তারপর প্রবল বৃষ্টির জেরে উদ্ধারকাজ সাময়িক বন্ধ হয়। আজ সকালে নদীর বিভিন্ন অংশে চালানো হবে তল্লাশি। পুলিশ সূত্রে খবর, ৭০টি প্রতিমা বিসর্জনের জন্য আনা হয়েছিল। তার মধ্যে ২৫ থেকে ৩০টি প্রতিমা বিসর্জনের পরই বিপর্যয় ঘটে। জলপাইগুড়ির মাল নদীতে গতকাল প্রতিমা বিসর্জনের সময় ৮ জন সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ছিলেন ঘটনাস্থলে। সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মী জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে দড়ি ছাড়া কিছু ছিল না। বিপর্যয় যখন ঘটে, তখন যদি সিভিল ডিফেন্সের আরও কর্মী থাকতেন, তাহলে দ্রুত উদ্ধারকাজ করা যেত বলে তাঁর দাবি।এই বিপর্যয় নিয়ে স্থানীয় সূত্রে একটা সম্ভাবনার কথাও বলা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, নদীখাতে আগেই বোল্ডার ফেলা হয়েছিল, যাতে, যেদিকে বিসর্জন হবে, সেদিকে বেশি জল থাকে। হড়পা বানের সময় তা হিতে বিপরীত হয়েছে।  যেখানে বিসর্জন হচ্ছিল, সেদিকেই প্রবল স্ত্রোত এসে সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। কয়েকদিন আগেই এই নদীতে হড়পা বান হয়। তারপরও কেন বিসর্জনের সময় বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্ন উঠছে।  


আরও পড়ুন, 'বিপর্যয়ের ক্ষতিপূরণ ১০ লক্ষ টাকা হওয়া উচিত', 'মাননীয়া'-কে একাধিক প্রশ্ন শুভেন্দুর


প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, জলপাইগুড়ির মাল নদীতে  বিসর্জনের মুহূর্তে হড়পা বানে ৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।  মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শান্তি কামনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ১৩ জন  এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'আমি ওনাদের দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করি। এই মুহূর্তে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এখনও খোঁজ এবং তল্লাশি কার্য চালিয়ে যাচ্ছেন। ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।' মৃতের নিকট আত্মীয়কে ২ লক্ষ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এরপরেই এবার টুইটে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার তিনি বগটুইকাণ্ড টেনে শুভেন্দু বলেন, 'রামপুরহাটের বগুটুইতে নিজে ছুটে গিয়ে চেক বিলি করলেন, এখানে তেমন করলেন না কেন মাননীয়া ? এদের দোষ কী ? মা  দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জনের সময়ে মারা যাওয়ার জন্য এদের গুরুত্ব আপেক্ষিকভাবে কম ? আমার দাবি হল প্রশাসনিক ব্যর্থতার জন্য, এই বিপর্যয়ের ক্ষতিপূরণ অন্তত ১০ লক্ষ টাকা হওয়া উচিত।'