বাচ্চু দাস, জলপাইগুড়ি: কামাখ্যা-বিহার রুটে জাল নোট পাচার! নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে জিআরপি-র জালে বিহারের যুবক। উদ্ধার লক্ষাধিক টাকার জালি নোট। কামাখ্যা থেকে বিহারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল এক যুবক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করল NJP GRP–এর SOG টিম।
আরও পড়ুন, মতুয়াদের CAA-'উদ্বেগ', ৬ বছরে যা হয়নি, ২ মাসে কি তা সম্ভব? SIR আবহে বড় প্রশ্ন
রবিবার আগরতলা–দেওঘর এক্সপ্রেস (ডাউন) ট্রেনের জেনারেল কামরা থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়।ধৃতের নাম MD একরাম আনওযাঁর আনসারী (২৭)। তিনি বিহার রাজ্যের পূর্ণিয়া জেলার হাসানপুর এলাকার বাসিন্দা। তল্লাশি চালিয়ে তার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক সিম কার্ড, দুটি ব্যাঙ্ক পাসবুক, একটি চেকবুক, দুটি এটিএম কার্ড ও একটি মোবাইল ফোন।সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর বিষয়, চারটি কালো প্যাকেটের মধ্যে উদ্ধার হয়েছে মোট ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ধৃতকে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হবে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে NJP GRP ও SOG টিম।
কিছুদিন আগে মালদার কালিয়াচকে সাড়ে ১২ লক্ষ টাকার জাল নোট সহ গ্রেফতার হয়েছিল ২জন। পুলিশসূত্রে খবর, ধৃতদের নাম সেরাজুল শেখ (৩৪) ও সিন্টু শেখ (২৪)। কালিয়াচকের খড়িবোনা থেকে তাদের গ্রেফতার করেছিল কালিয়াচক থানার পুলিশ। পুলিশসূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া সবকটি জাল নোটই ৫০০ টাকার। ধৃতরা এই জাল নোট কোথা থেকে পেয়েছিল? এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১০ দিনে মালদার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট ২৬ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোট বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল চারজনকে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পানশালার আড়ালে নারী পাচার ও টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে কলকাতায় হানা দিয়েছিল ইডি। সল্টলেক, নাগেরবাজার-সহ মহানগরের বিভিন্ন জায়গায় দিনভর তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। পানশালার আড়ালে নারী পাচারের অভিযোগের তদন্তে সকাল থেকে চলেছিল ওই ম্যারাথন অভিযান। ED সূত্রে খবর, ২০১৫ সালের একটি FIR-এর ভিত্তিতে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ED সূত্রে খবর, কলকাতা জুড়ে একাধিক জায়গায় অভিযুক্ত ৩ ব্যবসায়ীর একাধিক পানশালা রয়েছে।
অভিযোগ, সেই পানশালার আড়ালে তাঁরা নারী পাচার ও টাকা নয়ছয়ের কাজে জড়িত রয়েছেন। ২০১৫ সালে বিধাননগরের একটি থানায় করা FIR-এর ভিত্তিতে চলেছিল এই তল্লাশি। ED সূত্রে খবর, পানশালার ব্যবসার আড়ালে মহিলা পাচারের কারবার করে বিপুল টাকা নয়ছয় করা হয়েছিল।দুর্নীতির ওই টাকা ঘুরপথে কোথায় পৌঁছেছে? প্রোটেকশন মানি পেয়েছেন কারা ? এসবেরই তদন্তে একসঙ্গে ৭ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিলেন ED আধিকারিকরা।