দুবাই: গোটা টুর্নামেন্টে দাপট দেখিয়ে সবকয়টি ম্যাচ জিতেছিলেন বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রেরা। তবে অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপের (U-19 Asia Cup 2025) ফাইনালে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ল টিম ইন্ডিয়ার জুনিয়ররা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে (India vs Pakistan) ফাইনালে বৈভব শুরুটা দারুণ করেও দলকে জেতাতে পারলেন না। ১৯১ রানের বিরাট ব্যবধানে হারল ভারত। ভারতের বিরুদ্ধে অধিনায়ক হিসাবে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ফাইনাল, সিনিয়র দলের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর এবার মেন্টর হিসাবে দলকে অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপ জেতালেন প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আমেদ।

Continues below advertisement

এদিন আইসিসি অ্যাকাডেমির মাঠে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তবে সমীর মিনাসের ঐতিহাসিক ইনিংসে ভর করে রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। মিনাস মাত্র ১১৩ বলে ১৫২.২১ স্ট্রাইক রেটে ১৭টি চার এবং নয়টি ছক্কার সুবাদে ১৭২ রানের ইনিংস খেলেন। ইয়ুথ ওয়ান ডেতে এটাই কোনও পাকিস্তানি ব্যাটারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। 

পাকিস্তান ওপেনার হামজ়া জাহুর শুরুতে অল্প রানেই আউট হন। ব্যক্তিগত ১৮ রানের ইনিংস খেলে তিনি সাজঘরে ফেরেন। ৩১ রানে পাকিস্তান প্রথম উইকেট হারায়। তবে মিনাস এবং উসমানের ৯২ রানের পার্টনারশিপ পাকিস্তানকে ম্যাচে ফিরতে সাহায্য করে। এরপর আমেদ হোসেনের সঙ্গেও ১৩৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন মিনাস। এরপর পাকিস্তান নিরন্তর ব্য়বধানে উইকেট হারালেও নির্ধারিত ৫০ ওভারে বোর্ডে ৩৪৭ রান তুলে ফেলে। ভারতের হয়ে দীপেশ দেবেন্দ্রন সর্বাধিক তিন উইকেট নেন। হেনিল ও খিলান দুইটি করে উইকেট পায়। 

Continues below advertisement

বিরাট রানের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে ভারত শুরুটা দুরন্তভাবে করেছিল। বৈভব প্রথম ওভার থেকেই বড় শট মেরে ভারতের হয়ে শুরুটা ভালই করে। তবে অধিনায়ক আয়ুষ মাত্রেকে হারিয়ে প্রথম ধাক্কা খায় ভারত। তিনি মাত্র দুই রানে সাজঘরে ফিরে এক হতাশাজনক টুর্নামেন্ট শেষ করেন। অ্যারন জর্জ ১৬ রানে আউট হওয়ার পর বৈভবের বিধ্বংসী ইনিংস শেষ হয়। সে ১০ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরে। রান থাকলেও ৪.১ ওভারে ৪৯-এ তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় ভারত।

সেই ধাক্কা কাটিয়ে ভারতীয় জুনিয়ররা ম্যাচে ফিরতেই পারেনি। একেবারে শেষের দিকে দীপেশ ব্য়াট চালিয়ে ৩৬ রানের করেন। এটাই এদিন ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের স্কোর। ১৫৬ রানেই অল আউট হয়ে যায় ভারত। আলি রাজ়া পাকিস্তানের হয়ে সর্বাধিক চারটি উইকেট নেন।