অলোক সাঁতরা, মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজা চট্টোপাধ্যায়: শুঁড়ে জড়িয়ে আছাড়। পশ্চিম মেদিনীপুরে হাতির হানায় (Elephant Attack) মৃত্যু হল এক মহিলার। কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচেন তাঁর সঙ্গীরা। দুর্গাপুরের অঙ্গদপুর শিল্পতালুকেও হাতির তাণ্ডব। অন্যদিকে, জলপাইগুড়িতে ফের উদ্ধার হল চিতাবাঘ (Leopard)।


একদিকে হাতির হানা, আরেক দিকে চিতাবাঘের আতঙ্ক। দক্ষিণবঙ্গে যখন হাতির আতঙ্ক তখন উত্তরবঙ্গে চিতাবাঘের হানা। শনিবার রাতে জলপাইগুড়ির মালবাজারে জ্যোত্স্না রায় নামে এক মহিলার বাড়িতে ঢোকে চিতাবাঘ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাড়ির সদস্যরা। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে। পরে সেটিকে গরুমারা অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়।


পশ্চিম মেদিনীপুরের চাঁদড়ার জঙ্গলে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল এক মহিলার। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার ভোরে দেওর ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে গভীর জঙ্গলে মহুয়া ফল সংগ্রহ করতে যান ডুমুরকোটা গ্রামের বাসিন্দা রায়মণি কিস্কু। দাঁতালের সামনে পড়ে যান বছর পঞ্চাশের ওই মহিলা। তাঁকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় মারে হাতি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার। মৃতের দেওর দেবীলাল কিস্কু বলেন, “৪-৫ জন মিলে জঙ্গলে মহুয়া তুলতে গিয়েছিলাম। হাতি আছে জানতাম না। এলাকার লোক পালাতে বলে। বৌদি ছুটতে না পারায় হাতি আছাড় দিয়ে মারে। পরে মৃতদেহ উদ্ধার করে বন দফতর।‘’ ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার সন্দীপকুমার বেরোয়াল জানিয়েছেন, এলাকায় ৪-৫টি হাতি রয়েছে। ওরা খাবারের সন্ধানে বেরোচ্ছে। এই ঘটনায় আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।


অন্যদিকে, দুর্গাপুরের অঙ্গদপুর শিল্পতালুকের মায়াবাজারে শনিবার রাতে দাপিয়ে বেড়ায় একটি দাঁতাল। দুর্গাপুরের মায়াবাজারের বাসিন্দা ইমরান খান বলেন, “ক্ষয়ক্ষতি হয়নি কিন্তু এলাকার লোক ভয় পেয়ে গেছে।’’ বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে হাতিকে বাগে আনার চেষ্টা করেন বন দফতরের কর্মী ও হুলা পার্টির সদস্যরা। দুর্গাপুরের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার নীলরতন পাণ্ডা বলেন, “হাতিটা ছিল বড়জোড়া রেঞ্জে। চেষ্টা করছি নদীতে নামিয়ে ব্যারিকেড করে বাঁকুড়ায় ফেরাতে।’’ বন দফতর সূত্রে খবর, রাত দেড়টা নাগাদ হাতিটিকে দামোদরে নামতে দেখা যায়। এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।


আরও পড়ুন: North 24 Parganas: কর্মিসভায় পরিচয়পত্র দেওয়া নিয়ে মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক, কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা