রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: হাতির হামলায় (Elephants) মৃত্যু হল গ্রামবাসীর। আজ ভোর রাতে জলপাইগুড়ির বৈকন্ঠপুরের জঙ্গল সংলগ্ন দেউনিয়া পাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম নীলকান্ত ওরাও মৃত্যুকালীন বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।


অভিযোগ, এদিন ভোর রাতে দলছুট একটি হাতি গ্রামে ঢুকে পড়ে, সেই সময় ঘুমিয়ে ছিলেন নীলকান্ত ওরাও। ঘর ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁকে পিষে মারে হাতি। খবর পেয়ে বৈকন্ঠপুর বন বিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের বন কর্মীরা পৌঁছে হাতিটি তাড়া করে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেন। মৃতের পরিবারকে চার লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি পরিবারের একজন সদস্যর চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে বন দফতর।ঘটনাস্থলে বন দফতরের আধিকারিকেরা রয়েছেন।


সাতসকালে হাতির হামলা ঝাড়গ্রামে। তাতে মৃত্যু বেঘোরে প্রাণ যায় এক মহিলার। শুঁড়ে পাকিয়ে তুলে ধরে তাঁকে হাতিটি আছাড় মারে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়।ঘটনাটি ঘটে ঝাড়গ্রামজেলার ঝাড়গ্রাম ব্লকের পুকুরিয়া বিটেরি অন্তর্গত সাপধরা গ্রামে । সকালে সেখানে এমএসকে স্কুলের সামনে হাতির মুখে পড়ে যান মিনি খিলাড়ি নামের ওই মহিলা। তাতেই শুঁড় দিয়ে পাকিয়ে তুলে ওই মহিলাকে হাতিটি আছাড় মারে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।মাটিতে আছড়ে পড়ে গুরুতর জখম হন ওই মহিলা। স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে কোও রকমে হাতির সামনে থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তড়িঘড়ি ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার।


ঝাড়গ্রামে হাতির উপদ্রব বেড়েছে বলে খবর সামনে আসে গত মে মাসে। অতি সম্প্রতিই দলছুট হয়ে একটি হাতি ঢুকে পড়ে কাঁকসার গোপালপুর এলাকায়। সন্ধের পর সেখানের গ্রামে তাণ্ডব চালায় হাতিটি। একটি গাড়ির কাচও ভেঙে দেয়। সেই সময়ও বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও বন দফতর জানায়, বাঁকুড়া থেকে দামোদর পেরিয়ে কাঁকসায় ঢোকে দাঁতালটি। হাতিটিকে ধরতে এলাকায় মোতায়েন ছিলেন বন দফতরের কর্মীরা। পরে সেটি জঙ্গলে ফিরে যায় বলে জানা যায়।


আরও পড়ুন, ট্রেনের কামরায় মদ্যপানে প্রতিবাদ করায় রেল কর্মীকে বেধড়ক মার, কাঠগড়ায় সাফাই কর্মীরা


তবে হাতির হামলা রুখতে উদ্যোগও কম নেওয়া হয়নি। লোকালয়ে হাতির প্রবেশ আটকাতে কয়েক কুইন্ট্যাল ফলের বীজ নিয়ে যায় জঙ্গলে ছাত্রছাত্রীরা। জঙ্গলে হাতির সংখ্যা যেভাবে বেড়ে গিয়েছে, কমে গিয়েছে তুলনামূলক ভাবে তাদের খাদ্যের সংস্থান ৷ ফলে খাবার না পেয়ে প্রায়শই লোকালয়ে প্রবেশ করে হাতির পাল গৃহস্থের ফলের গাছ, বাড়ির ভেতরে থাকা খাদ্য শস্যের জন্য হানা দিচ্ছে ৷ এই খাদ্যের তল্লাশিতে প্রাণ যাচ্ছে গ্রামবাসীদের ৷ এই চিত্র মেদিনীপুর সদরেও প্রায়শই দেখা যাচ্ছে ৷ সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে মাঠে নামল জঙ্গলমহল এলাকার একটি বিদ্যালয়।