রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়িঃ ভারী বর্ষণে (Heavy Rain) জেরবার উত্তরবঙ্গ (North Bengal)। সিকিম ও ভুটান পাহাড়ে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের জেরেই ফুঁসছে নদী। তিস্তা জলঢাকা ও জলপাইগুড়ি শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করলা নদী বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সংকেত জারি করা হয়েছে। এখনও জলমগ্ন পুরসভা এলাকার একাধিক ওয়ার্ড। করলা নদীর জল ঢুকে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পরেশ মিত্র কলোনী ও এক নম্বর ওয়ার্ডে।


আরও পড়ুন,সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে মৃত্যু মৎসজীবীর, বাঘের মুখ থেকে বন্ধুকে বাঁচাতে পারল না সঙ্গীরা


গতকয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে একাকার উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকা। সিকিম ও ভুটান পাহাড়ে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের জেরেই ফুঁসছে তিস্তা জলঢাকা ও জলপাইগুড়ি শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করলা নদী । তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সংকেত জারি করা হয়েছে সেচ দফতর। এখনও জলমগ্ন পুরসভা এলাকার একাধিক ওয়ার্ড। করলা নদীর জল ঢুকে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পরেশ মিত্র কলোনী ও এক নম্বর ওয়ার্ড। গতকাল রাত পর্যন্ত শতাধিক জলবন্দি মানুষকে স্প্রীড বোর্ডের মাধ্যমে উদ্ধার করে ফ্লাড সেন্টারে পৌঁছে দিয়েছে পুরসভা ও জেলা প্রশাসন।
এই পরিস্থিতি তে জরুরি বৈঠক এসজেডিএ ও অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের, দুর্গত এলাকায় কীভাবে উন্নয়ন করা যায় সেই নিয়েই মূলত এই বৈঠক।


অপরদিকে, ভারী বৃষ্টিতে কোচবিহারেও জমেছে জল। বেহাল নিকাশির জন্যই প্রতিবার বর্ষায় জলে ভাসে কোচবিহার শহর, দাবি বিজেপির (BJP)। সুনীতি রোড, কলাবাগান এলাকায় হাঁটু-সমান জল। কোথাও কোথাও বাড়ির ভিতরেও জল ঢুকেছে। যার জেরে চরম ভোগান্তির মুখে কোচবিহারবাসী। প্রবল বৃষ্টির কারণে জল জমলেও, খুব তাড়াতাড়ি নেমে যাচ্ছে, প্রতিক্রিয়া তৃণমূল (TMC) পরিচালিত কোচবিহার পুরসভার (Cooch Behar Municipality)।প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষ থেকে চলতি বছরে একের পর প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই রয়েছে। বৃষ্টির জল বেড়ে হড়কা বান হোক, কিংবা 'ম্যান মেড বন্যা'-র মতো বিতর্কিত ইস্যু, সবেতেই ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে সাধারণ মানুষ। তাই এবার আর ঝুঁকি নিতে চায় না প্রশাসন।