ঝালদা :  ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) নিহত তপন কান্দুর (Tapan Kandu) ২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়লাভ ভাইপো মিঠুন কান্দুর। ব্যবধান ৬ গুণ বাড়িয়ে ৭৭৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। জয় প্রত্যাশিত ছিল বলে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মিঠুন। এদিকে এই জয় তাঁর স্বামীর রক্তের জয় বলে জানিয়েছেন তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু (Purnima Kandu)।


পূর্ণিমা বলেন, "এই জয় আমার স্বামীর রক্তের জয়, ঝালদার মানুষের জয়। ২ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ মিঠুনকে প্রার্থী করেছিলেন, আমিও চেয়েছিলাম পরিবার থেকেই প্রার্থী হোক। তৃণমূলের নেতারা চাননি যে, আমার স্বামী চেয়ারম্যানের আসনে বসুক। এই ওয়ার্ডের মানুষ তাদের ভালভাবে জবাব দিয়েছেন।" একই সুরে মিঠুন বলেন, "এই জয় কাকিমার চোখের জলের জয়। কাকার জয়। আমরা চাই, রাজনৈতিকভাবে আলাদা আলাদা হতে পারি, কিন্তু সকলে যেন একসঙ্গে থাকতে পারি।" 


তপন কান্দু-হত্যা-


গত ১৩ মার্চ প্রকাশ্য রাস্তায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। জয়ী কাউন্সিলরের মৃত্যু ঘিরে তুঙ্গে ওঠে রাজ্য রাজনীতির পারদ। সেই তপন কান্দুর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের প্রার্থী হন তাঁর ভাইপো মিঠুন। তাঁকে সমর্থন করে ফরওয়ার্ড ব্লক। শাসকদল তৃণমূলের প্রার্থী হন জগন্নাথ রজক। ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির টিকিটে লড়েন পরেশচন্দ্র দাস।


আরও পড়ুন ; "কাকিমার চোখের জলের জয়", প্রতিক্রিয়া মিঠুন কান্দুর


তপন কান্দু খুনের পর ঝালদায় উত্তাপ বাড়লেও রবিবার ঝালদা হাইস্কুলের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে দেখা যায় শান্তিপূর্ণ ছবি। তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে বসে আড্ডা দেন কংগ্রেস প্রার্থী মিঠুন কান্দু। সেখানে একসঙ্গে আইসক্রিম ও দুপুরের খাবার খান তিনজন। মিঠুন বলেছিলেন, এটাই আমাদের রীতি। কিছু লোকের জন্য খুন হয়েছেন।


ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী জগন্নাথ রজক বলেছিলেন, কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।


যদিও আজ ফল বেরনোর পর তিনি দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্ঘাতে হেরেছেন। বলেন, মোটে ১৫২ ভোট পেয়েছি, এটা প্রত্যাশিত নয়।