শান্তনু নস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের ঝিলার জঙ্গলে (Sundarban Forest) কাঁকড়া ধরতে গিয়ে মৃত্যু হল এক মৎসজীবীর (Fisherman)।মৃতের নাম বিষ্ণুপদ মিস্ত্রি।স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে ঝিলা ২নং জঙ্গল তিনজন মৎসজীবী সাতজেলিয়ার আনন্দপুর থেকে কাঁকড়া (Crab) ধরতে গিয়েছিল।হঠাৎ সকাল ৮টা নাগাদ যখন তাঁরা কাঁকড়া ধরার জন্য টোপ ফেলেছিল সেই সময় জঙ্গল থেকে একটি বাঘ (Tiger) লাফিয়ে নৌকায় উপর পড়ে বিষ্ণুপদ ঘাড়ে ধরে।সঙ্গে থাকা অপর দুই সঙ্গী তড়িঘড়ি নৌকার হাল নিয়ে বাঘের দিকে তেড়ে গেলে বাঘটি বিষ্ণুপদ কে ছেড়ে আবার জঙ্গলের দিকে চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গীরা তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গ্রামের দিকে আনার পথে মৃত্যু হয় হয় ওই মৎসজীবীর। এলাকায় খবর পৌঁছতে শোকের ছায়া নেমে পড়েছে।


আরও পড়ুন, 'হিংসা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়', উদয়পুরকাণ্ডে মমতা টুইট করতেই কী নিয়ে তোপ শুভেন্দুর ?


প্রসঙ্গত, একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে সুন্দরবনে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন মৎসজীবীরা। কখনও লুকিয়ে বন দফতরের নিষেধ অমান্য করে গভীর জঙ্গলে পেটের জ্বালায়, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে, দুটো পয়সা রোজগারের আশায় পাড়ি দেয় মৎসজীবীদের দল। গাছগাছালিতে ভরা আর নদীপথের নির্জনতায় আপাতচোখে নিস্তব্ধই থাকে সুন্দরবনে। নেই শহরের মতো একগুচ্ছ ফোনের টাওয়ার। মাইক্রোওয়েভের মাসুল দিতে হয় না পাখিদেরকে। দূর থেকে ভেসে আসে জলরঙা পাখির কলরব। আর এমনই এক শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মাঝেই মুহূর্তেই সব খান খান। তছনছ, এক আস্ত প্রাণ।


এদিনও তার অন্যথা হল না। সপ্তাহের মাঝখানে কাঁকড়া ধরে বাজারে বিকিয়ে ভালো আয়ের আশায় সুন্দরবনের ঝিলা ২নং জঙ্গলে পাড়ি দিয়েছিল তিনজন মৎসজীবী। সাতজেলিয়ার আনন্দপুর থেকে কাঁকড়া (Crab) ধরতে গিয়েছিল তাঁরা। পায়ের ছাপ, মলের গন্ধ থেকে বাঘের উপস্থিতি বরাবরাই যে তাঁরা ধরে ফেলতে ওস্তাদ। এত দিনের অভ্যাষ, অভিজ্ঞতা কী আর বিফলে যাবে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে আর দশ দিনের মতো এদিনও তাঁরা কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল। কিন্তু সব অভিজ্ঞতাই হার মানল বুধবার। বাড়ি ফেরা হল না বিষ্ণুপদ মিস্ত্রির।


ঘড়িতে তখন সকাল ৮টা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে ঝিলা ২নং জঙ্গল তিনজন মৎসজীবী সাতজেলিয়ার আনন্দপুর থেকে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল। বরাবরের মতোই সময় বুঝে এদিনও তাঁরা কাঁকড়া ধরার জন্য টোপ ফেলে। আচমকা সেই সময় জঙ্গল থেকে একটি বাঘ লাফিয়ে নৌকায় উপর পড়ে। এবং বিষ্ণুপদ-র ঘাড়ের উপর ধরে বসে সে।সঙ্গে থাকা অপর দুই সঙ্গী তড়িঘড়ি নৌকার হাল নিয়ে বাঘের দিকে তেড়ে গেলে, বাঘটি বিষ্ণুপদকে ছেড়ে আবার জঙ্গলের দিকে চলে যায়।  সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গীরা তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গ্রামের দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে যে সব শেষ। তাঁকে বাড়ির পথে আনার সময়ই মৃত্যু হয় হয় ওই মৎসজীবীর।