ধূপগুড়ি, রাজা চট্টোপাধ্যায় : ধূপগুড়ি ব্লককে (Dhupguri Block) মহকুমা করার দাবিতে শহরে জুড়ে পড়ল পোস্টার (Poster)। ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চের নামে পোস্টার পড়েছে। উত্তরবঙ্গ বরাবরই বঞ্চিত, বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (North Bengal is always deprived, alleges BJP)। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল (TMC)।


বুধবারই জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরদিনই, পৃথক মহকুমার দাবিতে ধূপগুড়িতে পড়ল পোস্টার। ধূপগুড়ির একাধিক জায়গায় ও জলপাইগুড়ি শহরে লাগানো হয় এমনই সব পোস্টার। পোস্টারের নিচে নাম রয়েছে ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চের।


আরও পড়ুন ; হাসিমারায় আদিবাসীদের নাচের ছন্দে পা, ধামসা-মাদলের তালে মাতলেন মমতা


কী দাবি জানানো হয়েছে পোস্টারে ?


ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চের সদস্য অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত বলেন, আন্দোলনটা বৃহত্তর। সাধারণ মানুষের দাবি। আশা করছি, মুখ্যমন্ত্রী সাড়া দেবেন। একুশের ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন। ২৭টি টি গার্ডেন। ৬০টি গণবস্তি। বিস্তীর্ণ কৃষিজমি। সামান্য কারণে জলপাইগুড়িতে যেতে হয়। সারাটা দিন নষ্ট। আমরা আশাবাদী, এবার এটা বাস্তবায়িত হবে। টাঙানো হয়েছে, যাতে মমতার নজরে আসে।


স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধূপগুড়ি ব্লকের চামরচি, বানারহাটের মতো জায়গা থেকে কোনও প্রশাসনিক কাজের জন্য ছুটতে হয় ৫০ কিলোমিটারের বেশি দূরে জলপাইগুড়ি শহরে। ফলে প্রবল ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাই ধূপগুড়িকে মহকুমায় উন্নীত করার দাবি দীর্ঘদিনের। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে, প্রচারে গিয়ে, ধূপগুড়িকে পৃথক মহকুমা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্রুত তা বাস্তবায়িত হোক, দাবি তুলেছে ধূপগুড়ির বাসিন্দারা। 


ধূপগুড়ির বাসিন্দা পলাশ সরকার বলেন, মহকুমা চাই । কারণ, প্রশাসনিক পরিকাঠামোর সব দিক দিয়েই উন্নতি চাই। মহকুমা হলে, হাসপাতালের পরিকাঠামো বাড়বে।


এই ইস্যুতে জলপাইগুড়ি বিজেপির সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, উত্তরবঙ্গ বরাবরই বঞ্চিত। বিধানসভার আগে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি। উনি এলেন ঘুরে চলে গেলেন। মানুষের ক্ষোভ আছে।