রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: সামনেই দুর্গাপুজো (Durga Puja)। তার আগে বড় ক্ষতির মুখে জলপাইগুড়ির ব্যবসায়ীরা। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে কাপড়ের গুদাম। তাতে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। কারণ দোকানে মালপত্র সাজানোর আগে, ওই গুদামেই মজুত রাখতেন তাঁরা। সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান (Fire in Warehouse)।
জলপাইগুড়িতে আগুনে ভস্মীভূত কাপড়ের গুদাম
জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri News) রাজগঞ্জের (Rajganj News) ঘটনা। রাজগঞ্জের বাজারেই কাপড়ের গুদামটি রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, হাটের প্রায় সব ব্যবসায়ীই ওই গুদামে মালপত্র রাখতেন। কিন্তু শনিবার রাতে আচমকাই ওই গুদামে আগুন লেগে যায়। তাতেই ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে সবকিছু।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আগুন লাগার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই এলাকায় দমকলের কেন্দ্র নেই। ফলে খবর দেওয়া হয় জলপাইগুডি় এবং শিলিগুড়ির দমকল বিভাগে। সেখান থেকে ইঞ্জিন এসে পৌঁছতে অনেক সময় লেগে যায়। তাতেই স,ব ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Chinsurah News: রাস্তার ধারে পড়ে ছিল বস্তা, আচমকা নড়ে উঠতে চাঞ্চল্য, ভিতর থেকে উদ্ধার বৃদ্ধা
হাটের ৫০ থেকে ৬০ জন ব্যবসায়ী ওই গুদামে মাল রেখেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সামনে পুজো। তার আগে নতুন মাল তুলেছিলেন সকলে। দোকানে সাজানোর পরিকল্পনা ছিল। তাই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমপক্ষে ১ কোটি বলে আপাতত অনুমান করা হচ্ছে।
কমপক্ষে ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান
সংবাদমাধ্যমে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এলাকায় কোনও দমকল কেন্দ্র না থাকায়, স্বাভাবিক ভাবেই জলপাইগুড়ি এবং শিলিগুড়ি থেকে দমকলের গাড়ি আসতে দেরি হয়। সামনে দমকল কেন্দ্র থাকলে কিছুটা মাল হয়ত বাঁচানো যেত। সমবেত স্বরে ব্যবসায়ীরা বলেন, "আর কয়েক দিন পরই পুজো। আমরা চাই, সরকারি ভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক ব্যবসায়ীদের।"
পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু যুবকের
অন্য় দিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের পশ্চিম করণচি গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন এক যুবক। বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে এলাকায় স্থানীয়দের বিক্ষোভ। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিমাই জানা নামে ৩৫ বছর বয়সি ওই যুবক দিঘায় জিনিস ফেরি করতেন। গতকাল রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ফেরার পথে, বাড়ির কাছেই ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, দু'ন আগে ঝড়ে তার ছিঁড়ে পড়ে যায়। বিদ্যুৎ দফতরে খবর দিলেও তারা কর্ণপাত করেনি। বিদ্যুৎ দফতরের যদিও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় নি।