সনৎ ঝা, রাজা চট্টোপাধ্যায় এবং ভাস্কর ঘোষ, কলকাতা: জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনের (Jalpaiguri Ramakrihsna Mission) ঘটনায় নতুন মোড়। যে স্বামী অক্ষয়ানন্দর বিরুদ্ধে FIR করেছেন প্রদীপ রায়, তিনি ৭ থেকে ৮ বছর আগে এই জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে ছিলেন। এমনটাই জানিয়েছেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ। স্বামী সুবীরানন্দজি বলেন, 'এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক যে এই অবস্থায় অক্ষয়ানন্দজিকে টেনে আনা হয়েছে এবং তাঁর সম্পর্কে জামিন অযোগ্য ধারায় FIR লজ করা হয়েছে। তিনি রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে, আর, তাঁর বিরুদ্ধেই FIR দায়ের করা হয়েছে।'   


রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ এও বলেন,  'এটা মেনে নেওয়া একেবারেই অসম্ভব এবং আমার মনে হচ্ছে আইনত ও নৈতিকতার দিক থেকে এটা অবাস্তব। আমি কোনওভাবেই এটিকে সমর্থন করি না যে অক্ষয়ানন্দজিকে তথা শিবপ্রেমানন্দজিকে কড়া এবং জামিন অযোগ্য FIR নেওয়া হয়েছে কিংবা দায়ের করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।' 


রামকৃষ্ণ মিশনের মতো প্রতিষ্ঠানের জমিতে মাফিয়ার হামলার অভিযোগে রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে এই FIR করার এক ঘণ্টা পর, সেই ভক্তিনগর থানাতেই রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী অক্ষয়ানন্দের বিরুদ্ধে একটি পাল্টা FIR করেন প্রদীপ রায়। রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় FIR-এ নাম থাকা অভিযুক্তর থেকে সেই FIR গ্রহণ করে পুলিশ।


এই অবস্থায়, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ জানিয়েছেন, যে স্বামী অক্ষয়ানন্দর বিরুদ্ধে FIR করেছেন মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায়, তিনি ৭ থেকে ৮ বছর আগে জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে ছিলেন। এখন তিনি রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে।


আরও পড়ুন, শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলায় অবশেষে গ্রেফতার ৫! এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত


স্বামী সুবীরানন্দ জানান, অক্ষয়ানন্দজি জলপাইগুড়ি আশ্রমে ৭-৮ বছর আগে ছিলেন। ১৪ বছর ছিলেন। অক্ষয়ানন্দজি এখন প্রয়াগরাজে আছেন। রামকৃষ্ণ মিশন জলপাইগুড়ির অধ্য়ক্ষ হিসাবে তিনি ডিড অফ গিফট গ্রহণ করেছিলেন। যখন এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে তখন অক্ষয়ানন্দজি এলাহাবাদে আছেন, প্রয়াগরাজে। অক্ষয়ানন্দজি জলপাইগুড়িতে নেই। এখন তিনি রামকৃষ্ণ মঠের যে শাখা আছে প্রয়াগরাজে, তার অধ্যক্ষ। 


আর এসবের মধ্যেই, শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনার, ৩ দিন পর, অবশেষে, ৫ জনকে গ্রেফতার করল ভক্তিনগর থানার পুলিশ। তবে, মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় এখনও অধরা। তিনি পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।


অন্যদিকে, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, এই ঘটনার কথা তাঁর জানা নেই।  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'আমার তো জানা নেই, কোনও জায়গায় গন্ডগোল হয়েছে বা কোনও আশ্রমের উপর কেউ আক্রমণ করেছে। আমি এটাকে সমর্থন করি না এবং আমাদের কেউ নেই। যদি খুঁজে বের করতে পারেন, আমি কথা দিচ্ছি আমাদের যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমি নেব।' 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে