রাজা চট্টোপাধ্যায় জলপাইগুড়ি: ক্যানিং-এর (Canning) পর এবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri)। রবিবার রাজগঞ্জে তৃণমূল নেতাকে গুলির ঘটনা প্রকাশ্যে এল। তৃণমূলের বুথ সভাপতি মহম্মদ সুলেমানকে গুলির অভিযোগ ওঠে। সূত্রের খবর বাড়ি ফেরার পথে চায়ের দোকানের সামনে হামলা হয়। রাজগঞ্জের (Rajganj) তৃণমূল (TMC) মাথায় বিধায়কের দাবি গুলি লেগেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শিলিগুড়ি (Siliguri)। বাইক আরোহী দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। 


গুলিবিদ্ধ যুব তৃণমূল নেতার (TMC Leader) মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত ক্যানিং। পরিবারের অভিযোগ, দলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার মহরম শেখ। যদিও, তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, খুনের নেপথ্যে বিজেপিরই হাত। পাল্টা শাসক-কোন্দলের দিকে আঙুল তুলেছে গেরুয়া শিবির (BJP)।


ক্যানিংয়ে (Canning) যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি খুন। বন্দুক হাতে হামলায় নাম জড়াল তৃণমূল () নেতার। শনিবার রাত ৮টা। বাড়ির উল্টোদিকে মাচায় বসে আছেন ক্যানিংয়ের নিকারিঘাটা যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। আচমকাই অন্ধকার ভেদ করে তাঁর সামনে ব্রেক কষল একটি অটো। 


ঝড়ের গতিতে অটো থেকে নেমে এল ৩ জন! তারপর, যুব নেতাকে লক্ষ করে খুব কাছ থেকে পরপর গুলি। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লেন যুব তৃণমূল নেতা। মুহূর্তের মধ্যে অটোতে চড়ে চম্পট দিল হামলাকারীরা। ক্যানিংয়ের সাতমুখী এলাকায় রোমহর্ষক এই শ্যুটআউটের ঘটনা ধরা পড়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায়।


বাড়ির সামনেই গুলিতে ঝাঁঝরা যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মহরম শেখ। মৃতের পরিজনদের অভিযোগ, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজে যে ব্যক্তিকে গুলি করতে দেখা যাচ্ছে, তিনি আর কেউ নন - ক্যানিংয়ের নিকারিঘাটা অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি রফিক শেখ। 


নিহত যুব তৃণমূল (TMC) নেতার স্ত্রী সাকিনা শেখের কথায়, যারা মেরেছে তারা তৃণমূল (TMC) করে, এর আগেও গুলি মেরেছে, রফিক তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতি, স্বামী বলত ওকে মারার প্ল্যান করছে রফিক, রফিক চাইছিল এলাকা দখল করতে। বিধানসভা ভোটের আগে প্রাণঘাতী হামলার শিকার হন মহরম। কিন্তু এবার শেষরক্ষা হল না। এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি যুব বনাম তৃণমূলের (TMC) দ্বন্দ্বের জেরেই হামলা? নিহতের পরিবারের চাঞ্চল্যকর দাবি, মহরম শেখ, ক্যানিং পশ্চিমের (West Canning) তৃণমূল বিধায়ক পরেশরাম দাসের অনুগামী হিসেবে পরিচিত।