কলকাতা: গ্যালারিতে তখনও অনেকে আসন খুঁজতে ব্যস্ত। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। ক্রিজে পৌঁছে গিয়েছেন রোহিত ও কে এল রাহুলের (KL Rahul) পরিবর্তে এই ম্যাচে খেলা ঈশান কিষাণ (Ishan Kishan)। বোলিং রান আপে তৈরি ট্রেন্ট বোল্টও। আচমকা গর্জন করে উঠল গ্যালারি।


পয়মন্ত মাঠে রোহিত বাউন্ডারি মারেননি। ঈশানও নয়। ক্যাচ ফেলে দেননি কিউয়ি কোনও ক্রিকেটারও। তাহলে দর্শক উচ্ছ্বাসের কারণ কী?


প্রশ্নের উত্তর সাজানো ছিল ক্লাব হাউসের লোয়ার টিয়ারে। সেখানে তখন হাজির সিএবি কর্তারা। মধ্যমণি যিনি, তাঁকে দেখেই চিৎকার করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ধূসর রংয়ের ব্লেজার। চোখে চশমা। ঠোঁটের কোনে পরিচিত হাসি। ক্লাব হাউসের লোয়ার টিয়ারে ইডেন বেল বাজিয়ে (Eden Bell) বাজিয়ে ভারত-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সূচনা করলেন।


তিনি, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অনেক দুঃসময়ে ভারতীয় ক্রিকেটের পথপ্রদর্শক হিসাবে কাজ করেছেন। বোর্ডের মসনদের বসেও নিয়েছেন একের পর এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। রবিবাসরীয় ইডেনে সৌরভের ঘণ্টাধ্বনিতে যেন প্রাণ ফিরে পেল ইডেন। গ্যালারিতে ফিরল পরিচিত গর্জন। মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে মহারাজকে স্বাগত জানাল ইডেন-জনতা।


">


ম্যাচে রোহিত শর্মা-রাহুল দ্রাবিড় জুটিকে নিয়ে আগ্রহের পাশাপাশি দেখা গেল বেশ কিছু অন্য ছবি। কীরকম? ফ্লাডলাইট জ্বলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই মাঠের বাইরে ফিরল পরিচিত ভিড়। মাঠমুখী জনতার কেউ জাতীয় পতাকা কিনলেন। কেউ আবার গালে আঁকিয়ে নিলেন তেরঙা। বরাবরের মতো। তবে করোনা পরিস্থিতিতে সংযোজন বলতে, মাঠের বাইরে দেদার বিকোল মাস্ক। হটকেকের মতো।


পতাকা, জার্সি, গালে তেরঙা আঁকার সঙ্গে ইডেনের বাইরে মাস্কের চাহিদাও তুঙ্গে


ইডেনে ম্যাচ থাকলেই জাতীয় পতাকা ও তেরঙা জলরঙ নিয়ে ময়দানে হাজির হয়ে যান খিদিরপুরের বান্টি আমেদ। এবার পতাকা ও জলরংয়ের পাশাপাশি হাতে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন মাস্কের প্য়াকেটও। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, মাস্ক না পরলে মাঠে প্রবেশ নাস্তি। তাই বান্টির কাছ থেকে মাস্ক কেনার জন্য ভিড় জমালেন অনেকেই। এক-একটি সার্জিক্যাল মাস্ক ১০ টাকায় বিক্রি হল।