রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : বানারহাটে চিকিত্সা করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়লেন এক ভুয়ো চিকিত্সক। পুলিশ সূত্রে দাবি, মঙ্গলবার ওই ব্যক্তি একটি বাড়িতে চিকিৎসা করতে গিয়ে ধরা পড়ে যান।
ডুয়ার্সের গয়েরকাটার সুভাষপল্লিতে ওই ভুয়ো চিকিৎসক এক বিশেষভাবে সক্ষম শিশুর চিকিৎসা করতে গিয়েই ধরা পড়ে যান। নিজেকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি এদিন গয়েরকাটার সুভাষপল্লী তে প্রদীপ রায় নামে এক ব্যক্তির দোকানে পৌঁছোন, সেখানে তিনি জানান, তিনি সব অসুখ সারাতে পারেন। বিশেষভাবে সক্ষম এক শিশুর চিকিত্সা করানোর জন্য এক ব্যক্তি তাঁকে আত্মীয়র বাড়িতে নিয়ে যান।
শিশুটিকে দেখে বলেন, তিনি শিশুটিকে ভালো করে দেবেন। অভিযোগ, ওষুধ দিয়ে তিনি ২৮ হাজার টাকা চান। অন্যান্য ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন পড়তে গিয়ে তাতে লেখা ওষুধের উচ্চারণ করতে গিয়ে বার বার হোঁচট খান ওই ব্যক্তি। তাতেই সন্দেহ হয় সবার । এরপর শিশুর জন্য ওষুধ লিখতে গিয়ে তার বানান দেখে সন্দেহ হয় ওই পরিবারের। ওই ব্যক্তির নথি পরীক্ষা করা হয়।
এরপরই ঐ ব্যক্তিকে চেপে ধরতেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এলাকাবাসীরা। চাপে পড়ে ওই ব্যক্তি স্বীকার করে নেন যে, তিনি ডাক্তার নন। তার যোগ্যতা ক্লাস ২ পাশ। এরপর চাপে পড়ে ক্ষমা চান তিনি। তবে প্রশ্ন উঠছে কিভাবে একজন ব্যক্তি এভাবে কাউকে প্রতারণা করতে পারেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিন্নাগুড়ি ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যায়।
অভিযোগ, তখনই ধরা পড়ে ওই ব্যক্তি ভুয়ো চিকিত্সক। তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্তর বাড়ি মুর্শিদাবাদে। তিনি দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।
এরপর প্রায় ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা হয় তাঁর ! বলেন, পেটের দায়েই এই পথ বেছেছেন তিনি। নিজেই নথি তৈরি ফেলেছেন বলে দাবি করেছেন ওই ভুয়ো ডাক্তার। তিনি কবিরাজ বলেও দাবি করেন।