রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ডুয়ার্সের বানারহাট থানার মোগোললাটা ফরেস্ট বস্তি এলাকায় হাতির মৃতদেহ উদ্ধার। বন দফতর সূত্রে খবর, গতকাল রাতে মরাঘাট জঙল থেকে একটি হাতির দল ওই এলাকায় ঢুকেছিল ধানক্ষেত এলাকায়। সেখানেই হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়েও মৃত্যু হতে পাড়ে বলে মনে করছে বন দফতর।
কিছুদিন আগেই, ২২ ঘণ্টার চেষ্টায় গভীর রাতে শহুরে এলাকা থেকে দুটি হাতিকে (Elephants) জাতীয় সড়ক (National Highway) দিয়ে বের করে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হয়েছিল বন দফতর (Forest Department)। জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) লোকালয়ে হাতির তাণ্ডব দেখা যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাত ২টো নাগাদ বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গল ছেড়ে তিস্তার পাড় ধরে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে দুটি হাতি। এরপর, গতকাল গোটা দিন হাতিগুলিকে জঙ্গলে পাঠাতে হিমশিম খেতে হয় বন দফতরকে। সাধারণত সন্ধে নামলেই বন দফতর হাতিদের জঙ্গলে পাঠিয়ে থাকে। কিন্ত এইবারে শহরে হাতি প্রবেশের ক্ষেত্রে একাধিক পদ্ধতি অবলম্বন করেও কোনও লাভ হয়নি। পটকা ফাটানো থেকে শুরু করে একাধিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় বন দফতরকে। কিন্তু হাতি দুটি কখনও পুরসভার পবিত্রপাড়া সংলগ্ন এলাকার ঝোপে তাণ্ডব চালায় তো আবার কখনও ঝোপ পার হয়ে লোকালয়ে আসার চেষ্টা করতে থাকে।
এরপর প্রশাসন তৎপর হয়ে রাতে ৩১ নং জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি বনকর্মীরা পটকা ফাটিয়ে হাতি দুটোকে ঝোপ থেকে বের করার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্ত তাতেও সাফল্য আসেনি। স্বাভাবিকভাবেই বন দফতর থেকে জেলা প্রশাসন, সকলকেই যথেষ্ট বেগ পেতে হয় ওই দুই হাতিকে জঙ্গলে পাঠাতে। তবে শেষ পর্যন্ত গভীর রাতে সেটা সম্ভব হয়। বন দফতর সূত্রে খবর, সরকারি কোভিড হাসপাতালের পাঁচিল ভেঙে দেয় হাতি দুটি। এরপর জলপাইগুড়ি শহরের পবিত্রপাড়া এলাকায় করলা নদী সংলগ্ন ঝোপে আশ্রয় নেয় দুই দাঁতাল।