সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: করোনা আবহে কল্পতরু উৎসবে (Kalpataru Utsav) এবারও ভক্তশূন্য থাকবে কাশীপুর উদ্যানবাটি। ১-৩ জানুয়ারি উদ্যানবাটিতে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। তবে অনলাইনে দেখা কল্পতরু উৎসব। বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন www.rkmcudyanbati.org -এ 


বছরের প্রথম দিন পালিত হয় কল্পতরু উৎসব। ২০২১ সালে ১ জানুয়ারিও করোনা আবহে কাশীপুর উদ্যানবাটীতে ঢুকতে পারেননি ভক্তরা। তবে প্রতিবারের মতো প্রথা মেনেই পুজো হয়। সকালে মঙ্গলারতির মাধ্যমে সূচনা হয় কল্পতরু উত্সবের। এরপর বিশেষ যজ্ঞ হবে। সারাদিন ধরে চলে পুজো। ভক্তিগীতি ও রামকৃষ্ণ কথামৃত পাঠ করা হয় এদিন।


১৮৮৬ সালের পয়লা জানুয়ারি কল্পতরু রূপে ভক্তদের আশীর্বাদ করেছিলেন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ৷ কাশীপুর উদ্যানবাটীতে ভক্তদের আশীর্বাদ করে বলেছিলেন- ‘চৈতন্য হোক’৷ এরপর থেকেই প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনে পালিত হয়ে আসছে কল্পতরু উৎসব হিসেবে৷ এবছর কল্পতরু উৎসবের দিন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরেও ভক্তদের প্রবেশ নিষেধ ছিল। তবে রীতি মেনে হয় পুজো। বন্ধ ছিল বাগবাজারে মায়ের বাড়িও।  

আরও পড়ুন :


দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ফের ছাড়াল ১০ হাজার, অ্যাক্টিভ কেস ৫২৭ দিনে সর্বনিম্ন


অন্যদিকে গতকালই শীতের মরসুমে উঠসব অনুষ্ঠান পালনের ক্ষেত্রে একটি নির্দেশিকা জারি করে উচ্চ আদালত ।  মঙ্গলবার এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে  কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ মন্তব্য করে, রাজ্যে আগামীদিনে যে সব উত্‍সব হবে, সেক্ষেত্রে কোভিড বিধি যাতে মেনে চলা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে। বলা হয়,  উত্‍সবের সময় বিধি পালনে বাড়তি নজর দিতে হবে সরকারকে।  


পুজোর পর থেকেই রাজ্যে করোনাগ্রাফ উপর দিকে উঠেছে। মঙ্গলবারও রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রকাশিত বুলেটিনে দেখা গিয়েছে, রাজ্যে ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে করোনা সংক্রমণ। একদিনে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছে ৮১৯ জন। একদিনে মৃত ১৪। একদিনে সুস্থ ৮২৫। দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। এই পরিস্থিতিতেই বড়দিন, নববর্ষের মতো উৎসবের সময় কড়াকড়ি নিয়ে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আর এই পরিস্থিতির কথা চিন্তা করেই কাশীপুর উদ্যানবাটির এই সিদ্ধান্ত।