কলকাতা: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েই বিস্ফোরণ ঘটালেন জয়প্রকাশ মজুমদার (Jay Prakash Majumdar)। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাঠি করেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) জয়ী হয়েছেন বলে দাবি করলেন তিনি। তা নিয়ে নতুন করে রাজ্য রাজনীতি তেতে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা। কারণ তৃণমূলের তরফে বরাবরই দাবি করা হয়েছে যে, নন্দীগ্রামে সোজাপথে জয়লাভ করেননি শুভেন্দু। মমতা নিজেও এ নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন।


দীর্ঘ বিদ্রোহপর্ব কাটিয়ে চলতি সপ্তাহেই তৃণমূলে যোগদান করেন জয়প্রকাশ। সেই নিয়ে বিজেপি-র তরফে যখন চাঁচাছোলা আক্রমণ দেয়ে আসছে, সেই সময়ই এমন বিস্ফোরক দাবি করলেন জয়প্রকাশ। তবে তিনি একা নন, তৃণমূল থেকে বিজেপি হয়ে ফের তৃণমূলে এসে ওঠা রাজ্যএর প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Rajib Banerjee) একই দাবি করেছেন।


তৃণমূলে যোগ দিয়েই রাজ্যে দলের সহ-সভাপতির পদ পেয়ে গিয়েছেন জয়প্রকাশ। সেই নিয়ে কাটাছেঁড়ার মধ্যেই শনিবার সংবাদমাধ্যমে একেবারে নন্দীগ্রাম মুখ খোলেন। বলেন, “বিজেপির রাজ্য দফতর থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছেন। কিন্তু তার পর জানা গেল শুভেন্দু অধিকারীর জয়ের খবর। কী করে এটা সম্ভব হল জানতে চাইলে শুভেন্দু নিজে বলেছিলেন, ‘অনেক কায়দা করতে হয়েছে’।”


আরও পড়ুন: Paschim Bardhaman News: রাজ্য বাজেটে বঞ্চিত আসানসোল, ক্ষোভ জিতেন্দ্র তিওয়ারির


জয়প্রকাশের দাবিতে সিলমোহর দিয়েছেন রাজীবও। তাঁর বক্তব্য, “ নন্দীগ্রামে ভোট প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হয়নি। ফল ঘোষণার পর শুভেন্দু নিজে আমাকে বলেছিলেন যে উনি হেরে গেছেন। তাহলে কোন মন্ত্রবলে উনি জিতলেন?”


কিন্তু জয়প্রকাশ এবং রাজীবের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। দু'জন ভিত্তিহীন দাবি করছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। মমতার সুনজরে পড়তেই জয়প্রকাশ এমন দাবি করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। অন্য দিকে, রাজীব ত্রিপুরা থেকে বাংলায় ফিরতে নন্দীগ্রাম নিয়ে ভিত্তিহীন দাবি করছে বলে মন্তব্য করেন। 


গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিপুল ভাবে জয়ী হলেও নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে সামান্য ভোটে পিছিয়ে পরাজিত হন মমতা। কিন্তু শুরু থেকে গণনায় এগিয়ে থেকেও অধিকারী গড়ে চক্রান্তের শিকার হয়ে শেষ মুহূর্তে তাঁর ভোট কমে যায় বলে দাবি করেন নেত্রী। এ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলাও চলছে। তবে ইতিমধ্যেই ফের ভবানীপুর থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন মমতা।