কলকাতা: তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। সোমবার, বিদ্রোহী বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এবং সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকে দেখা যায়, দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে। এরপরই মঙ্গলবার, নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে শাসক শিবিরে যোগ দিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর যোগদান নিয়ে কটাক্ষ সুর শোনা যায় রাজ্য বিজেপির সভাপতির গলায়।  


জয়প্রকাশ মজুমদারের তৃণমূলের যোগদান নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "ওনাকে দল সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করেছিল। এই দলে তো ছিলেন না। তাই এরপর কোন দলে যাবেন সেটা একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। মানুষকে কেউ ধরে রাখতে পারে না। এর আগে তো কংগ্রেস করেছিলেন। তারপর বিজেপিতে এসেছিলেন। আবার বিজেপি থেকে তৃণমূলে গেলেন। এটা নতুন কোনও বড় ব্যাপার নয়। এরপর আরও কোনও দল পরিবর্তন করবেন। 


কিন্তু বিজেপিতে ভাঙন থামাতে কী করবে বিজেপি? এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের কথায়, "যুদ্ধ জিততে গেলে শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিকের প্রয়োজন। যে সেনা নিয়ম মেনে চলে না সে যুদ্ধে কাজে আসে না। দল পরিবর্তন বৈঠক সেটা তাঁদের বিষয় সে বিষয়ে তাঁরা বলবে। দলের ভিতরে সমস্যা থাকলে তা নিয়ে কথা বলার অধিকার সকলের রয়েছে। বাকি দলের বাইরে যা হবে সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। দল এর জন্য উত্তর দেবে না। দলের শৃঙ্খলা আগে। সেটাই সকলকে মেনে চলতে হবে।" 


২০১৪ সালে, কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন জয়প্রকাশ মজুমদার। এরপর তাঁকে রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি করা হয়। ২০১৯’এর করিমপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী করে বিজেপি। সেখানে তৃণমূলের কাছে হেরে যান জয়প্রকাশ। কলকাতা পুরভোটে বিজেপির আশানুরুপ ফল না হওয়ার পর রাজ্য বিজেপিতে বড়সড় রদবদল হয়।গত বছরের ডিসেম্বরে সহ সভাপতি থেকে সরিয়ে তাঁকে মুখপাত্র করে বিজেপি।


তারপর থেকেই দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেন জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারি। এরপরই, দু’জনকে শোকজ করে বিজেপি।২৪ ডিসেম্বর, এবিপি আনন্দে শো-চলাকালীনই রীতেশ তিওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।