কলকাতা : তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন জয়প্রকাশ মজুমদার, খবর সূত্রের । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে যোগ দেবেন তৃণমূলে, খবর সূত্রের । দল থেকে তাঁকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে, জানিয়ে দিল বিজেপি । গতকালই জয়প্রকাশের সঙ্গে বৈঠকে করেছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায় । দল কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, বারবার রাজ্য নেতৃত্বের একাংশকে আক্রমণও করেন জয়প্রকাশ মজুমদার। সব মিলিয়ে, রাজ্য বিজেপিতে ডামাডোল অব্যাহত।


বিজেপি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর, কেন্দ্র ও রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে বারবার সুর চড়ান জয়প্রকাশ মজুমদার। সেই সঙ্গে দলের ত্রুটি বোঝাতে গিয়ে, তিনি তুলনা টানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি ২৫ জানুয়ারি মন্তব্য করেছিলেন, ' লড়াই হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যাঁকে সারা ভারতে এখন মনে করা হয়, অত্যন্ত কুশলী স্ট্র্যাটেজিস্ট, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নেত্রী। এবার আমি মেসির টিমের সঙ্গে খেলতে নামব তিনদিন প্র্যাকটিস করে?' শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ করে রাজ্য বিজেপি। উত্তর দেওয়ার আগেই তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। 

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তারপর থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে লাগাতার তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে এসেছেন। নারদকাণ্ডের ভিডিও সামনে এনে বিজেপির তরফে প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন তিনি। 


সোমবারই রাজ্য বিজেপির বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন দলের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। যা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বৈঠকে ছিলেন  জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারির পাশাপাশি সায়ন্তন বসুও। যিনি রাজ্য কমিটির তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। 


আজ নজরুল মঞ্চে রাজ্যস্তরের বৈঠকে বসছে তৃণমূল।  ইতিমধ্যে জাতীয় স্তরে সাংগঠনিক রদবদল সেরে ফেলেছে তৃণমূল।  তৈরি হয়েছে নতুন ওয়ার্কিং কমিটি।  এবার রাজ্য স্তরে কিছু জায়গায় রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে বলে শাসক দল সূত্রে খবর।  ছাত্র সংগঠনে রদবদল হতে পারে।  কিছু জেলায় সভাপতি পদেও রদবদলের সম্ভাবনা।  রাজ্য সভাপতি বা মহাসচিব পদেও কি রদবদল হবে? এই জল্পনা ঘুরছে তৃণমূলের অন্দরে।  বৈঠকে থাকছেন  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।