মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, ঝালদা: ঝালদায় (Jhalda) কংগ্রেস কাউন্সিলর (Congress Councilor) তপন কান্দু (Tapan Kandu) খুনে গ্রেফতার নরেন কান্দু (Naren Kandu)। যিনি সম্পর্কে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের দাদা নরেন কান্দু। এছাড়াও, আসিফ খান নামে ঝালদার এক ব্যবসায়ীও গ্রেফতার হয়েছেন। ঝালদাকাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন নরেনের ছেলে দীপক কান্দু। পুরভোটে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছিলেন নরেনের ছেলে দীপক। ভাড়াটে খুনির সামনে বসিয়ে ম্যারাথন জেরার পরে গ্রেফতার।                   


কী জানিয়েছে পুলিশ?  


এর আগে ঝাড়খণ্ডের বোকারো থেকে কলেবার সিং নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ‘কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের মূল চক্রী নরেন কান্দু। মিডলম্যানের কাজ করেছিল আসিফ খান', দাবি এসপির। কিন্তু, নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের পরিবারের প্রশ্ন, খুনের নেপথ্যে বড় মাথা কে? পুরবোর্ড গঠনের ঠিক মুখে কার নির্দেশে কংগ্রেস কাউন্সিলরকে মারা হল? কেন ঝালদা থানার IC কংগ্রেস কাউন্সিলরকে তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছিলেন?                  


এর আগে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, ধৃত কলেবার সিংয়ের নামে আগেও একাধিক অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। ২০১৩ সালে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতারও হয়েছিল সে।                                          


আরও পড়ুন, প্যারাগ্লাইডিং করতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, সিকিমে মৃত্যু পর্যটকের


প্রসঙ্গত, ১৩ মার্চ প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয়েছিল, ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের কাউন্সিলর তপন কান্দুকে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারের দাবি, যে তিনজন মোটরবাইকে এসে কংগ্রেস কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন কলেবার। তবে তিনিই গুলি চালিয়েছিলেন কি না, জিজ্ঞাসাবাদ করে তা জানার চেষ্টা করা হবে।