পুরুলিয়া: ঝালদায় (Jhalda) ফের হাতবদল, কংগ্রেসের (Congress) কাছ থেকে ফের পুরসভা তৃণমূলের (TMC)। নিহত তপন কান্দুর ভাইপো-সহ ৪ কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে। উন্নয়নে সামিল হতেই তৃণমূলে, এক সুর ৫ দলত্যাগীর। নির্দল কাউন্সিলর তথা ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সনও তৃণমূলে। কংগ্রেস-নির্দলের ৫ কাউন্সিলরের সমর্থনে ঝালদায় তৃণমূল একাই ১০।


৬ থেকে কমে ঝালদায় কংগ্রেসের হাতে শুধুমাত্র ২জন কাউন্সিলর। বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়কের হাত ধরে তৃণমূলে তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন। কংগ্রেসের পিন্টু চন্দ, বিজয় কান্দু, মিঠুন কান্দু , সোমনাথ কর্মকারের দলবদল। তৃণমূলে যোগ দিলেন চেয়ারপার্সন তথা নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। ৬ থেকে কমে কংগ্রেস কাউন্সিলর থাকলেন শুধু পূর্ণিমা কান্দু, সোমনাথ কয়াল। উন্নয়নের লড়াইয়ে সামিল হতেই তৃণমূলে, সবার মুখে এক দাবি।


 উল্লেখ্য, পুরুলিয়ার ঝালদায় ২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন তপন কান্দু। কংগ্রেস প্রার্থী তপন ১২৭ ভোটে হারিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী দীপক কান্দুকে, যিনি কিনা তাঁর নিজের ভাইপো। তার পর গত ১৩ মার্চ খুন হয়ে যান তপন। সঙ্গীদের সঙ্গে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান। তৎকালীন সেসময়ে ঝালদা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে কখনও জেতেনি তৃণমূল।তবে তপন কান্দু হত্যার পর ফের উপনির্বাচন হয় গতবার।


সেই স্থানে এবার কংগ্রেস প্রার্থী হয়ে গতবার ভোটে লড়েছিলেন মিঠুন কান্দু। তবে প্রথম থেকে এই ওয়ার্ডে কংগ্রেস- তৃণমূলের একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছিল। আর ফলাফলের পর ঝালদার ২ ওয়ার্ডে কংগ্রেসের ধারাবাহিকতাই বজায় ছিল। বড় ব্যবধানে জয়ের পর কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী মিঠুন কান্দু সেবার বলেছিলেন, 'কাকিমার চোখের জলের জয়। জয় প্রত্যাশিত ছিল', দাবি ছিল তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দুর। 


 আরও পড়ুন,'ইন্ডিয়া বনাম ভারত, BJP-র তৈরি করা বিভ্রান্তি..', ট্যুইট অভিষেকের


প্রসঙ্গত, জয়ের পর কংগ্রেস নেতাদের দলবদলের ঘটনা নতুন নয়। এমন ইতিহাসের সাক্ষী সাগরদিঘিও।সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন বায়রন বিশ্বাস। মাত্র কয়েকমাস আগেই শূন্য থেকে তুলে দলকে বিধানসভায় নিয়ে গিয়েছেন তিনি।   সাগরদিঘি উপনির্বাচনের (Sagardighi Bypolls) ফল ঘোষণার ২০ দিন পর, শপথগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সাগরদিঘিতে বাম সমর্থিত কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী ছিলেন তিনি। তৃণমূলকে (TMC) হারিয়ে ২৩ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এদিকে সাগরদিঘিতে জয়ের ৩ মাসের মধ্যে দলবদল করেন তিনি। তৃণমূলে যোগ দেন সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস।