উত্তর ২৪ পরগনা: ফের মর্মান্তিক আগুন লাগার ঘটনার সাক্ষী হল উত্তর ২৪ পরগনা (Barasat Fire Incident)।  বারাসাতের কদম্বগাছিতে রঙের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন। ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। জখম কারখানার ৩ শ্রমিক, ভর্তি হাসপাতালে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।


উত্তর ২৪ পরগনায় অতীতেও কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ হারিয়েছেন কারখানার শ্রমিকরা। যার জ্বলন্ত উদাহরণ মধ্যমগ্রামের গেঞ্জি কারখানা। যেখানে শাটার বন্ধ কারখানায় দাহ্য পদার্থ থাকার দরুণ মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। বেরিয়ে এসেছিল একের পর এক দগ্ধ দেহ। আর এবার সঙ্গে সম্প্রতি সংযোজন হয়েছে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। কার্যত দত্তপুকুরের বাজি কারখানার বিস্ফোরণে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রাতারাতি সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে সেটা ছিল বিস্ফোরণ। এবার আলাদা প্রেক্ষাপট হলেও, এবার সেই লেলিহান শিখার শিকার হতে হল বারাসাতের কদম্বগাছিকে। মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হল বারাসাত।


প্রসঙ্গত, কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা বাদ দিলে বহুতলে আগুন লাগার ঘটনাও কম নেই। কারখানায় দাহ্য পদার্থ যদি কারণ হয়ে থাকে, শহরের একাধিক বাড়িতেও আগুন লাগার অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রধান খলনায়ক কারেন্টের তার অর্থাৎ শর্টসার্কিট এবং গ্যাস সিলিন্ডার  বাস্ট করে আগুন। চলতি বছরের অগাস্ট মাসে বউবাজারের বহুতলে আগুন লেগেছিল। তবে এক্ষেত্রে কারণটা ছিল ব্যাতিক্রমী। মূলত ওই বহুতলের বেসমেন্টে রাসায়নিকের গুদাম ছিল। 


সেখানেই আগুন লাগতে উপরের তলার ফ্ল্যাটের আবাসিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল আতঙ্ক। সঙ্কীর্ণ রাস্তায় আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েছিল দমকল।  কলকাতায় (Kolkata) এই বহুতলটির বেসমেন্টে রয়েছে মূলত রাসায়নিকের গুদাম। উপরের তলায় আবাসন, সেখানে আবাসিকরা রয়েছেন। সাততলা ভবনে বেসমেন্টে রয়েছে গুদাম। সেখানে রয়েছে রাসায়নিকের ড্রাম। সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরণ (Exploitation) ঘটছিল। প্রথমে সেখানে ঢুকতে পারছিলেন না দমকলকর্মীরা। ওই বেসমেন্টে ঢোকার ও বেরনোর পথ একটিই। সেটি বন্ধ ছিল। পিছনের একটি গেট কেটে আপাতত ব্যবস্থা করা হয়েছিল। 


আরও পড়ুন, 'ইন্ডিয়া বনাম ভারত, BJP-র তৈরি করা বিভ্রান্তি..', ট্যুইট অভিষেকের


অপরদিকে, রাজ্যের দমকল দফতর এখন আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। আধুনিক সরঞ্জাম কেনা হয়েছে দমকলের খাতে। তবুও অনেক সময়ই শহরের একাধিক এলাকায় অভিযোগ ওঠে দমকলের ইঞ্জিন দেরি এসে পৌছানোর জন্য আগুন আরো বড় আকার নিয়ে ক্ষয়ক্ষতি বেড়ে যাওয়ার।  কিন্তু এই অভিযোগের পাশাপাশিই বেরিয়ে এসেছে আরও একটি বড় কারণ। মূলত অনেক সময় শহরের অধিকাংশ গলিগুলি সরু হওয়ার জন্য দমকলের গাড়িগুলি ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছে। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আকাশ ঢেকে যাওয়া তারের জটলা। যার জেরে দমকল ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যেতে দেরি করেছে।