সন্দীপ সমাদ্দার ও মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়: পুরুলিয়ায় (Purulia) কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে একটি অডিও ক্লিপ। নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের এক ভাইপো মিঠুন কান্দুর সঙ্গে এক ব্যক্তির ফোনে কথোপকথনের অডিও সামনে এসেছে। মিঠুনই ওই অডিও ক্লিপ সামনে এনেছেন। মিঠুনের দাবি, তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয় ঝালদা থানার আইসি-র।  অডিও ক্লিপে দ্বিতীয় কণ্ঠকে বলতে শোনা গিয়েছে, তৃণমূলের টিকিটে জেতা প্রার্থীই চেয়ারম্যান হবেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যানের ব্যবস্থা তিনি করতে পারেন। অভিযোগ, এই দ্বিতীয় কণ্ঠস্বর ঝালদা থানার আইসি-র। যদিও এই অডিও ক্লিপের সত্যতা এবিপি আনন্দ যাচাই করেনি।


এদিন এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিঠুন কান্দু বলেন, "ভোটের ফল ঘোষণার পর থানায় ডেকে পাঠিয়েছি। তিন জন কাউন্সিলরের মধ্যে কাউকে তৃণমূলে জয়েন করাতে বলেছিল। আমি বলেছিলাম জিজ্ঞেস করে দেখছি। মাঝেমধ্যে আমাকে ফোনও করত। জানতে চেয়েছিলাম চেয়ারম্যান করবে কি না। তাতে বলেছিল, চেয়ারম্যান হবে না। ভাইস চেয়ারম্যান করব। আমাকে অনেকবার ফোন করেছিল। বারবার থানায় ডেকে পাঠায়। আইসি বলেছিল কাকাকে কেস দেবে।'' তাঁর দাবি তপন কান্দুকে এই বিষয়ে জানানোর পর প্রয়াত কাউন্সিলর জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি দল ত্যাগ করবেন না। নিহত কাউন্সিলরকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি মিঠুনের। 


দেখুন ভিডিও: Jhalda Murder: ঝালদার খুন হওয়া কাউন্সিলরের ভাইপোর সঙ্গে কথোপকথোনের অডিও প্রকাশ্যে


গত ১৩ মার্চ খুন হন ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। তার আগের দিন অর্থাৎ ১২ মার্চ ঝালদা থানার আইসি ফোন করেছিলেন বলে দাবি ভাইপো মিঠুন কান্দুর। তিনি বলেন, "ফোন করে আইসি জানতে চান তৃণমূল যোগ দেওয়াতে পারব কি না!'' এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগন জানিয়েছেন, প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করে মামলা রুজু হয়েছে। মৃতের স্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। SDPO ঝালদাকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। মৃত কাউন্সিলরের স্ত্রী ঝালদা থানার আইসি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।  


আরও পড়ুন: Councilors Murder: ২ কাউন্সিলরকে খুন, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের আর্জি আইনজীবীর