অমিতাভ রথ, বেলপাহাড়ি: মা-বাবার সঙ্গে ঝাড়গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিল ছোট্ট সমৃদ্ধ। কেউ কল্পনাও করতে পারেনি, সেখানে গিয়ে চিরতরে হারিয়ে যাবে ছোট্ট চনমনে ছেলেটা। ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়িতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ঝর্নার জলে তলিয়ে মৃত্যু হল ৮ বছরের শিশুর।
মঙ্গলবার মা-বাবা পরিজনদের সঙ্গে ঝাড়গ্রামে বেড়াতে যায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের বাসিন্দা, সমৃদ্ধ দাস। বেসরকারি হোটেলে ছিল পরিবার। বৃহস্পতিবার গাড়িতে করে ঘুরতে যায় জঙ্গলের রাস্তায়। দুপুর নাগাদ পৌঁছয় বেলপাহাড়ির ঘাগড়া জলপ্রপাতের কাছে।
পরিবার সূত্রে খবর, আচমকা পা ফস্কে জলপ্রপাতের জলে পড়ে যায় সমৃদ্ধ। সঙ্গে সঙ্গে জলে ঝাঁপ দেয় তার বাবা। কিন্তু, জলের তোড় এতটাই বেশি ছিল যে, ছোট্ট সমৃদ্ধকে উদ্ধার করা যায়নি।
কিছুটা দূরে পাথরে আটকে যায় ৮ বছরের শিশুর শরীর। প্রায় ১ ঘণ্টা পর সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
বেলপাহাড়ি থানার পুলিশ ওই শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝারগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরিবারের সকলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। বেড়াতে এসে এমন ঘটনা ঘটবে তাঁরা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। বাবা ও মা কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।
ওই ঘটনার পর ঘাগরা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। যেখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন পর্যটকরা বেড়াতে আসেন সেখানে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটায় রীতিমতো অবাক হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।
জুলাইয়ের শেষেই, ঝাড়গ্রামের লোধাশুলির কেঁউদিশোল জঙ্গলে হাতি দেখতে গিয়ে মৃত্যু হয় এক পর্যটকের। হাতি দেখতে গভীর জঙ্গলে ঢুকে পড়েছিলেন তিনজন। দলমার দাঁতালের মুখোমুখি পড়ে যান তাঁরা। ২ জন পালালেও, কলকাতার এক পর্যটককে থেঁতলে দেয় দাঁতাল।
একমাসের মাথায় ফের বেড়াতে গিয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। বন দফতরের তরফে পর্যটকদের আরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।