অমিতাভ রথ, বেলপাহাড়ি: মাওবাদী আতঙ্কের মধ্যেই বেলপাহাড়ির জঙ্গলে খুন। ভুলাভেদার শ্যামনগর জঙ্গলে মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে আতঙ্ক। মাথার পিছনে আর পিঠে ধারাল অস্ত্রের আঘাত। জুয়া খেলা নিয়ে বিবাদের জেরে খুন বলে দাবি পুলিশের। 


ঝাড়গ্রামে মাওবাদীদের নামে পোস্টার


এদিকে, ঝাড়গ্রামে ফের মাওবাদীদের নামে পোস্টার ঘিরে আতঙ্ক ছড়াল। আজ সকালে বিনপুর থানার নারায়ণপুরে মাওবাদীদের নামে পোস্টার মেলে। স্থানীয় বাসিন্দারা পোস্টার দেখে পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ এসে পোস্টারগুলি থুলে নিয়ে যায়। শনিবার ঝাড়গ্রামেরই মানিকপাড়া ও সরডিহায় মাওবাদীদের নামে পোস্টার উদ্ধার হয়েছিল। গত ১৫ এপ্রিল থেকে জঙ্গলমহলে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। তার মধ্যেই একের পর এক জায়গায় মাওবাদীদের নামে পোস্টার দেখা যাচ্ছে। 


জঙ্গলমহলে ফের মাওবাদী তৎপরতা?


২০১১-র নভেম্বরে মাওবাদী শীর্ষ নেতা কিষেণজির মৃত্যুর পর জঙ্গলমহলে অনেকটাই কমে গিয়েছিল মাওবাদী তত্‍পরতা। কিন্তু সম্প্রতি মাওবাদী পোস্টার, ল্যান্ডমাইন উদ্ধার এবং সম্প্রতি মাওবাদীদের ডাকা বনধের প্রভাব পড়ার পর থেকেই ফের কপালে ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের। জঙ্গলমহল জুড়ে জারি হয়েছে হাই-অ্যালার্ট। জঙ্গলমহলের মসৃণ রাস্তা গুলিতে ফের শুরু হয়েছে নাকা চেকিং।আনা হয়েছে ল্যান্ড-মাইন প্রতিরোধী গাড়ি। আর এসবের মধ্যেই একটু একটু করে ভয় দানা বাঁধতে শুরু করেছে জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের মনে। সন্ধে হলেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তা, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দোকানপাট। 


বান্দোয়ান নামটা শুনলেই যেন স্মৃতিতে ভেসে আসে ২০০৫ সালের ৩০ ডিসেম্বরের কথা। সেদিন পুরুলিয়ার তত্‍কালীন জেলা সভাধিপতি ও সিপিএম নেতা রবি কর ও তাঁর স্ত্রী আনন্দময়ীকে গুলি করে হত্যা করেছিল মাওবাদীরা। এরপর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ঘরবাড়ি। সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার স্মৃতি ফিরে আসছে জঙ্গলমহলে।


এরই মধ্যে মাওবাদী সন্দেহে বীরভূমের বোলপুর ও শান্তিনিকেতন থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের একজন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্র, অন্যজন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া। আজ খাতরা মহকুমা আদালত ধৃতদের আটদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।