অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: রাজাধিরাজের আভিজাত্যের সবকিছু জলাঞ্জলি দিয়ে মা কালী এখানে আবির্ভূত হন । বিরহের যন্ত্রণা জ্বালা নিয়ে মা পূজিতা হন ঝাড়গ্রামের কেউন্দিশল। বিয়োগান্তক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝাড়গ্রামের কেউন্দিশলে মা কালী আজ সর্বজন মানসে পূজিতা।
আরও পড়ুন: Kali Puja 2021: সাড়ে ৪০০ বছরের ইতিহাস, রঘু ডাকাতের হাত ধরে শুরু হয়েছিল ‘বিপ্লবী’ বাড়ির কালীপুজো
জানা যায়, ১৩৫৬ বঙ্গাব্দে হাড়িরাম দাস স্বপ্নাদেশে নির্দেশ পান। তবে সেই নির্দেশ সার্থক না হয়ে একটি প্রাণের বিনিময়ে পুজো হয়। সেইসময় হরিরাম দাসের একমাত্র কন্যা সন্তানের মৃত্যু হয়। সে মৃতদেহ শ্মশানে দাহ কার্য না করে মাটির গর্ত খুঁড়ে পুঁতে দেন তিনি। স্থানীয়দের কথায়,রোজ রাতে শ্মশানে গিয়ে মাটির সেই অংশের সামনে বসে হরিরাম দাস আকুল আর্তনাদ করতেন। এরপর এই ঘটনা জানাজানি হয়। জানা গিয়েছে, এরপর হরিরাম দাসকে পরিবার সহ প্রতিবেশীরা অনেক বোঝালেও কোনও লাভ হয়নি। স্থানীয়দের কথায়, “স্বপ্নে মা কালী আবির্ভূত হয়ে হরিরাম দাসকে বলে মেয়ে মাটিতে মিশে গিয়েছে । তুই কি এখন আর্তনাদ করবি, না আমাকে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে পুজো অর্চনা করবি?’’ লোককথা অনুযায়ী, এই কথা বলার পরেই মা অদৃশ্য হয়ে যান। তারপরে শ্মশান এর মধ্যেই একটি বই পান হরিরাম দাস। স্থানীয়দের কথায়, হরিরাম দাসকে সেই সময় মা আবির্ভূত হয়ে নির্দেশ দেন যে, আমি তোর মেয়ের মতো। আমাকে তুই পূজার্চনা কর।