অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম : রাতে দলমার দল, তো দিনে রেসিডেন্সিয়াল ! এ যেন 'সাঁড়াশি আক্রমণ'। হাতির (Elephant) হামলার আতঙ্কে জেরবার ঝাড়গ্রামবাসী (People of Jhargram)। 


ঝাড়গ্রামে হাতি-আতঙ্কের ছবি-


দূর থেকে চিৎকার শোনা যাচ্ছে, পালিয়ে এসো, পালিয়ে এসো। রাতে বাড়ি থেকে ছুটে পালাচ্ছে একটা বাচ্চা, তার পর বাড়ির বউ। শেষে কোনও রকমে বাড়ির বৃদ্ধা প্রাণ হাতে করে পালাচ্ছেন। পরে দেখা গেল, গোটা বাড়িটাই ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে হাতি। এই চিত্র গিধনির পডিহা এলাকার। গত পরশুর পর গতকাল রাতেও হামলা চালায় হাতির দল।


আরও পড়ুন ; শুঁড়ে পাকিয়ে তুলে সজোরে আছাড়, ঝাড়গ্রামে হাতির হামলায় মৃত্যু মহিলার


এটাই এখন ঝাড়গ্রামে রাতের রোজনামচা। একশোর বেশি হাতির দল গিধনি, জামবনী, ঝাড়গ্রাম, সাঁকরাইল, নয়াগ্রাম রেঞ্জে দাপিয়ে বেরাচ্ছে। 


সকালে জামবনী ব্লকের সাবলমারা এলাকায় একটি রেসিডেন্সিয়াল হাতি যাত্রীবাহী বাসকে আটকে দেয়। তারপর গোটা বাস কখনো শুঁড়, তো কখনো দাঁত দিয়ে ধাক্কা মারতে থাকে। গোটা বাস ঘিরে শুরু করে 'রেইকি'। আতঙ্কে বাস থেকে নেমে ছোটাছুটি শুরু করে দেন যাত্রীরা। কপাল ভাল কারও দিকে তেড়ে যায়নি হাতি। নাহলে যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।


এদিকে এলাকায় হাতি তাড়াতে বন দফতরের কর্মীরা পৌঁছালেও, যে ভাবে রাতে ক্ষয়ক্ষতি করছে হাতির পাল তাতে বন দফতরে পরিকাঠামোর অভাব প্রকাশ পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বন দফতরের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলছে এলাকাবাসী। অভিযোগ উঠেছে, ক্ষতিপূরণ না পাওয়ারও।


সবমিলিয়ে হাতি-মানুষ সংঘাত ক্রমশ জটিল হচ্ছে জঙ্গলমহলে।


দিনকয়েক আগেই হাতির হামলা ঝাড়গ্রামে (Jhargram Elephant Attack) বেঘোরে প্রাণ যায় এক মহিলার। শুঁড়ে পাকিয়ে তুলে ধরে তাঁকে হাতিটি আছাড় মারে বলে জানা যায়। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রশ্ন ওঠে বন দফতরের (Forest Department) ভূমিকা নিয়ে।