অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: আদিবাসীদের নিয়ে করা বিধানসভায় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যের বিরোধিতায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ ডাকল আদিবাসীদের সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা। ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক অবরোধ করেছে তারা। ঝাড়গ্রামে বন্ধ বেসরকারি বাস পরিষেবা। রাস্তায় যে অল্প সংখ্যক সরকারি বেরিয়েছিল তাও অবরোধের জেরে আটকে পড়েছে। তবে ছাড় দেওয়া হয়েছে জরুরি পরিষেবায়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আদিবাসীদের অপমান করেছেন। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে আদিবাসী সমাজের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের অপমানের অভিযোগ তুলে ঝাড়গ্রাম জেলায় অনির্দিষ্টকালের বন্ধের ডাক দিয়েছে ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল। বন্ধের প্রথম দিনেই রাস্তা কার্যত শুনসান। তৃণমূলনেতৃত্বের দাবি, মন্ত্রীর কথার ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আরও এক যুব তৃণমূলনেতার গ্রেফতারি..দিল্লিতে ১১ দিনের ইডি হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল।
নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে পরপর শিশুমৃত্যু, একাধিক ইস্যুতে পথে নেমে বিরোধীদের বিক্ষোভ, বকেয়া DA-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের লাগাতার আন্দোলন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নানামুখী চাপে জেরবার তৃণমূল সরকার। এত কিছুর মধ্যে যেন নতুন মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়াল জঙ্গলমহলে আদিবাসীদের বন্ধ। মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের অপমানের অভিযোগ তুলে
শনিবার সকাল ৬টা থেকে ঝাড়গ্রাম জেলায় অনির্দিষ্টকালের বন্ধের ডাক দিয়েছে ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল। হাতে গোনা কয়েকটি সরকারি বাস চললেও, এদিন ঝাড়গ্রামে কার্যত কোনও বেসরকারি বাসই রাস্তায় নামেনি। আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের সদস্যরা বেশ কিছুক্ষণের জন্য ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন।
বেশিরভাগ দোকান-বাজারই ছিল বন্ধ। কিছু জায়গায় দোকান খুললেও, বন্ধ সমর্থকরা তা বন্ধ করে দেন। বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রস্তাব ও শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়ের একটি মন্তব্য়, গত ২১ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় এই বন্ধের ডাক দিয়েছে ঝাড়গ্রামের ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, রাজ্য়ের পরিষদীয় মন্ত্রী গোর্খা জনজাতিভুক্তদের 'বহিরাগত' ও 'অনুপ্রবেশকারী' বলে আদিবাসীদের অপমান করেছেন।
যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় বলছেন, আমি কোনওভাবেই অপমান করতে চাইনি। সিকিম সরকার ব্রিটিশ সরকারকে দার্জিলিং উপহার দেয়। প্রচুর মানুষ আসেন। বসবাস শুরু করেন। সেটাই বোঝাতে চেয়েছি। মন্ত্রী এই সাফাই দিলেও মানতে নারাজ ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের নেতারা। জঙ্গলমহলে বন্ধের জট কীভাবে কাটে, সেটাই এখন দেখার।