অমিতাভ রথ, সাঁকরাইল : ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে পুকুরের জলে ডুবে মৃত্যু যুবকেরও। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার সাঁকরাইল (Sankrail) ব্লকের জকুয়া গ্রামে। সৌমিত্র জানা (১৭) ও সুব্রত জানা (২০)। একজন এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, অন্য জন প্রথম বর্ষের ছাত্র। সম্পর্কে এরা দু ভাই। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ১২টা নাগাদ দুর্গাহুড়ি পার্কে ঘুরতে যায় জকুয়া গ্রামের একই পরিবারের তিন জন। সেখানে গিয়ে পুকুরে স্নান করতে নামে কিশোর তথা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সৌমিত্র। জলে নেমে তলিয়ে যেতে থাকে সে। সেই সময় সাহায্যের জন্য চিৎকার করে। ভাইকে বাঁচাতে জলে ঝাঁপ মারেন প্রথম বর্ষের ছাত্র সুব্রত। তৃতীয় জন তখন পার্কের অন্যত্র।


চিৎকার শুনে সে গ্রামে ছুটে এসে দেখে দু'জনে তলিয়ে যাচ্ছে। তৎক্ষণাৎ সে গ্রামে খবর দেয় ।  এলাকার লোকজন ছুটে এসে তল্লাশি শুরু করে। খবর যায় সাঁকরাইল থানায়। তড়িঘড়ি ব্লক বিপর্যয় মোকাবিলা টিমকে খবর দেওয়া হয়। তিন জন ডুবুরি এবং গ্রামের লোকের চেষ্টায় প্রায় এক ঘণ্টা পর দু'জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার জেরে পরিবারে শোকের ছায়া।


গত বছর অক্টোবর মাসে একইরকম জলে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নৌকা চড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন দিঘিতে। কিন্তু ফেরা আর হয়নি। নৌকাবিহারে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় এক যুবকের (Youth Death)। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) আউশগ্রাম থানা এলাকার ঘটনা।


নৌকা করে  দিঘিতে ঘুরতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয় যুবকের। দীর্ঘক্ষণ ধরে খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে মেল যুবকের মৃতদেহ। মৃতের নাম বরকত আলি মল্লিক। বয়স ৩২।


মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে আউশগ্রাম থানার আলেফ নগর এলাকায়। বরকত আলি মল্লিক কাজের সূত্রে বাইরে থাকতেন। ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। এখানে এসে বাবার সঙ্গে জমিতে ঘাস কাটতে যান। সেখানে দিঘিতে মাছের খাবার দেওয়ার যে নৌকা বাঁধা ছিল তা নিয়েই মাঝখানে ঘুরতে যান বরকত। আর তখনই ঘটে যায় এই বিপত্তি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মৃত বরকত আলি মল্লিক সাঁতার জানতেন না। দীর্ঘক্ষণ ধরে খোঁজাখুজির পর অবশেষে মৃতদেহ উদ্ধার হয় দিঘি থেকে।


আরও পড়ুন ; নৌকা করে দীঘিতে ঘুরতে গিয়ে বিপত্তি, জলে ডুবে মৃত্যু হল যুবকের