কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের গ্রেফতার জীবনকৃষ্ণ সাহা। ED-র নজরে বিধায়কের পিসি। ৭ ঘণ্টা পর CGO থেকে বেরোলেন সাঁইথিয়ার তৃণমূল কাউন্সিলর। সকাল ১১.৩৫টায় ED দফতরে ঢোকেন জীবনকৃষ্ণের পিসি মায়া সাহা। সন্ধে ৭টায় ED দফতর ছাড়েন সাঁইথিয়ার তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁর দাবি, 'সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। জীবনকৃষ্ণ আমার মাধ্যমে কোনও সম্পত্তি কিনেছিলেন কিনা প্রশ্ন করেছে। জীবনকৃষ্ণের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।'
সাঁইথিয়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মায়া সাহ বৃহস্পতিবার ED দফতরে হাজিরা দেন মায়া সাহা। এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ সাঁইথিয়ার বাড়ি থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের পিসি মায়া সাহা। সকাল ১১ টা ৩৫ নাগাদ, সিজিও কমপ্লেক্সে ED দফতরে ঢোকেন ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসি। সোমবার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতারির পাশাপাশি, তাঁর পিসির বাড়িতেও যায় ED। সাড়ে ৪টা ঘণ্টা ধরে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ চলে। মায়া সাহা দাবি করেন, দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর যোগ নেই। সূত্রের খবর, সেদিনই তাঁকে ২৮ অগাস্ট ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়।
এই আবহেই চাঞ্চল্য়কর দাবি করেন ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাবা। মায়া সাহার দাদা, তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাবা বিশ্বনাথ সাহার অভিযোগ, বহু জায়গায় বেনামে সম্পত্তি কিনেছেন তাঁর বোন। এদিন কলকাতা যাওয়ার আগে তার জবাব দিয়েছেন মায়া সাহা। পারিবারিক হিংসা থেকে মিথ্যা দোষারোপ বলে দাবি করেছেন তৃণমূল বিধায়কের পিসি। ধৃত জীবনকৃষ্ণ সাহার বাবা বিশ্বনাথ সাহা বলেছিলেন, "রেড করার দরকার আছে। বহুত জায়গায় সম্পত্তি করেছে মায়া সাহা। মায়া সাহার বাড়ির পিছনেই...বেনামে কিনে...নামে কিনে রেখে দিয়েছে। MLA হয়েই তো করল। ...যা উপদ্রব। আমি তো থাকতে পারব না, যদি ওর কিছু না হয়।''প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা পর, সন্ধে ৭ টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে জেরার পর বেরিয়ে যান মায়া সাহা। তৃণমূল কাউন্সিলর ও ধৃত জীবনকৃষ্ণ সাহার পিসি বলেন, "বলল বিশ্বনাথ সাহা যেগুলো বলেছিল সেগুলো সত্যি? আমি বললাম মিথ্যা। সব হিংসাহিংসি। সমস্ত নথি জমা দেওয়া হয়নি। বাকি আছে কিছু। ১০-১৫ দিনের মধ্যে বাকি নথি দিতে বলেছে। কোনও নগদ লেনদেন নিয়ে সম্পত্তি করিনি। আমরা লোন নিয়ে করেছি ব্যাঙ্কের।''