হিন্দোল দে, কলকাতা: দুই ইস্যু। দুই আন্দোলন। একপক্ষের কাঠগড়ায় মোদি সরকার। অপরপক্ষের নিশানায় রাজ্যের তৃণমূল সরকার। বাংলা বিষয়ক আন্দোলনের এপিসেন্টার হয়ে উঠেছে দেশের রাজধানী - দিল্লি। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লিতে আন্দোলনে বসতে চলেছে তৃণমূল।


তারা যখন দিল্লির পথে ঠিক সেই সময়ে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিয়োগে বঞ্চনার অভিযোগে মোদি সরকারের দ্বারস্থ হতে দিল্লি রওনা দিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। আন্দোলনকারী ও ২০০৯-এর চাকরিপ্রার্থী লক্ষ্মী মণ্ডল বলেন, 'আমাদের কথা কখনও শুনতেই চায়নি রাজ্য সরকার। সেই কারণে, আমরা আমাদের দাবিতে জাতীয়স্তরে পৌঁছে দিতে চাইছি।'                      


১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনায় বকেয়া আদায়ের দাবিতে সোমবার রাজঘাটে ধর্না এবং পরদিন যন্তরমন্তরে অবস্থান-বিক্ষোভের কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের এই চাকরিপ্রার্থীদেরও হুঁশিয়ারি, তাঁরাও তাঁদের আন্দোলন শুরু করবেন রাজঘাট এবং যন্তরমন্তরে। আন্দোলনকারী ও ২০০৯-এর চাকরিপ্রার্থী দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, 'রাজঘাট থেকে যন্তরমন্তরে আমাদের অবস্থান বিক্ষোভের সাথে সাথে, আমরা দিল্লি পুলিশকে মেল করেছি, যদি পারমিশন পাই, তাহলে অবশ্যই বসব । আমরা কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যাচ্ছি, ১৪ বছরের অপেক্ষা থেকে মুক্তি পেতে। ২০০৯-এর জয়েনিং চাই, ১০০% চাই, ইমিডিয়েটলি মুখ্যমন্ত্রী যেন হস্তক্ষেপ করে, এই দাবি নিয়ে।'                    


আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী পার্থ মণ্ডল বলেন, 'ওরা ঠিক করেছে, আগে আমরা এরকমই ভেবেছিলাম, যদি শেষ অবধি না হয়, তাহলে আমাদেরও এই পথে হাঁটতে হবে।' এর আগে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে দিল্লির দরবারে নিয়ে গিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীদেরও গন্তব্য দিল্লি।


দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯-এর প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা নবান্নের দরবার পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি। যেতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও। এবার সেই চাকরিপ্রার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চাইছেন তাতে কি মিলবে সুরাহার খোঁজ? দিনের পর দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া এই কর্মপ্রার্থীদের দাবি পূরণ হবে?


আরও পড়ুন: টাকা না দেওয়াতেই দেওয়াল ধসে মৃত্যু, রক্ত BJP-র হাতে, গিরিরাজকে গ্রেফতারের দাবি অভিষেকের