কলকাতা: এবারের পুজোও (Durga Puja 2022) কি রাস্তাতেই কাটবে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের? চাকরির দাবিতে ৫৬০ দিনের বেশি গাঁধী মূর্তির নিচে এসএসসি (SSC) চাকরিপ্রার্থীরা। মাতঙ্গিনী মূর্তির নিচেও অবস্থানে চাকরিপ্রার্থীরা।
উৎসবের শহরে আন্দোলনে চাকরিপ্রার্থীরা: আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠল আলোর বেণু...আজ মহালয়া৷ মহালয়া পিতৃপক্ষের অবসান। দেবীপক্ষের সূচনা। প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে জমতে শুরু করেছে ভিড়। বাপের বাড়ির পথে উমা। রাস্তাঘাটে আলোর রোশনাই জানিয়ে দিচ্ছে, উৎসবের মরসুম এসে গিয়েছে। কিন্তু সেই উৎসবের চিহ্নটুকু নেই, আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের মনে। কারোর চোখে জল, কারোর আবার কথা বলতে গিয়ে গলা বুজে আসছে। ঝাপসা হচ্ছে চোখ, পরিবারের কথা বলতে গিয়ে ধরে রাখতে পারছেন না চোখের জল। বঞ্চনার অভিযোগে উৎসবের দিনেও রাস্তায় অবস্থান করছেন তাঁরা। ঘর-বাড়ি ভুলে নিয়োগের দাবিতে সরব তাঁরা।
কী দাবি চাকরিপ্রার্থীদের? রোদ-ঝড়-জল-বৃষ্টি মাথায় নেই কেটেছিল এতগুলি দিন। আশা ছিল অন্তত পুজোর আগে নিয়োগ হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তেমন আভাস নেই বলেই দাবি চাকরিপ্রার্থীদের। একটাই দাবি, "আমারা বাঁচতে চাই...''। 'উৎসবের শহরে আর আশ্বাস নয়, দ্রুত নিয়োগ চাই'- এই প্ল্যাকার্ড হাতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তি ঘিরে চার চারটি অবস্থান চলছে। চাকরির দাবিতে ৫৬০ দিনের বেশি গাঁধী মূর্তির নিচে এসএসসি (SSC) চাকরিপ্রার্থীরা। এছাড়াও ওই একই অঞ্চলে অবস্থান করছেন. ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের একাংশ। চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, "মুখ্যমন্ত্রী ২০২০ সালে বলেছিলেন প্রাইমারি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সবার নিয়োগ হবে। ২০১৪ সালে আমার টেট পাশ করেছি। দুবার ইন্টারভিউ দিয়েছি, আমরা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা বঞ্চিত। বাংলার আকাশে বাতাসে পুজো। কিন্তু হতাশার অন্ধকারে নিমজ্জিত আমরা। কোনও আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না।'' দেবীপক্ষে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা মায়েদের গলায় আক্ষেপের সুর। এক চাকরিপ্রার্থী বলছেন, "আমরা সন্তানটাও এবার পুজো আমাকে ছাড়াই কাটাবে। মাঝেমধ্যেই বলে, বলেছিলে চাকরি পেলে ভাল জামা কিনে দেবে, কবে দেবে কিনে!'' আরেক চাকরিরপ্রার্থীর কথায়, "সন্তানকে বাধ্য হয়ে বাড়িতে রেখে দিয়ে আসতে হচ্ছে। এটা খুবই যন্ত্রণার। বাড়িতে ঠিক করে খায় কিনা জানি।''
আরও পড়ুন: Suvendu on Bus Strike : "মনে মনে বিজেপি", বাসকর্মীদের আন্দোলন নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু ?