পার্থপ্রতিম ঘোষ, সুকান্ত মুখোপাধ্যায় ও সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা : চাকরি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ দেখিয়ে, জুটল পুলিশের জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা। রাত লকআপে কাটল উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের। ধৃতদের হেফাজতে চেয়েও পেল না পুলিশ। ৫৫ জন মহিলা চাকরিপ্রার্থীর জামিন এবং ৪ পুরুষ চাকরিপ্রার্থীর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত।


চাকরি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু জুটল জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা। লক আপে রাত কাটল উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের। 'বড় পরিকল্পনার চেষ্টা রয়েছে, জানতে হবে', এই দাবি করে, ধৃত চাকরিপ্রার্থীদের ৭ দিনের জন্য হেফাজতে চাইল পুলিশ। যদিও, এদিন আদালতে ধোপে টিকল না পুলিশের যুক্তি,
ধৃত ৫৫ জন মহিলা চাকরিপ্রার্থীকে জামিন এবং ৪ পুরুষ চাকরিপ্রার্থীর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।


শুক্রবার, কালীঘাট থানা ও মন্দিরের কাছ থেকে এসে, কালীঘাট রোড ধরে একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ার উল্টোদিকে, মন্দিরের মূল গেটের কাছে পৌঁছে যান উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউ থেকে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। শুরু হয় ধরপাকড়, যার জেরে হুলস্থুল পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই ঘটনায়, ৫৫ জন মহিলা-সহ ৫৯ জন চাকরিপ্রার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা, সরকারি কর্মীকে নিগ্রহ, অবৈধ জমায়েত এবং জোর করে আটকে রাখার মতো মামলা রুজু করেছে পুলিশ।


ধৃতদের এদিন আলিপুর আদালতে তোলা হলে, সরকারি আইনজীবী বলেন, হাজরা মোড়ে ধর্না হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো ছিল পুলিশি ব্যবস্থা। কয়েকজন হঠাৎ করে সবার মধ্যে মিশে গিয়ে, যেখানে জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা রয়েছে, ২ জন VIP থাকেন, সেখানে গিয়ে ৯ জন পুলিশকে আহত করেন। ধর্নাকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে অপরাধ করছেন। এটা বারবার হচ্ছে, কোথায় গিয়ে থামবে ? তখন তদন্তকারী অফিসারকে বিচারক বলেন, পুলিশ হেফাজত কেন চাইছেন ? তদন্তকারী অফিসার বলেন, একটা ব্যানারে আন্দোলন হয়েছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাশে এরা আন্দোলন করেন।

বিচারক তখন ফের প্রশ্ন করেন, পুলিশ হেফাজত কেন চাইছেন ? তখন তদন্তকারী অফিসার বলেন, বড় পরিকল্পনার চেষ্টা করছে, তা জানতে হবে। জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তার বিষয় রয়েছে। বারবার এরকম হলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হবে। ধৃতদের আইনজীবী তখন বলেন, পুলিশের ওপর হামলা হয়নি। আসলে চাকরি পেতে গেলে পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়। এই সব করে ভয় দেখাতে চাইছে, যাতে চাকরি জীবনে দাগ লাগানো যায়। SSC-তে দেখেছেন, মন্ত্রী থেকে অনেকেই জেলে রয়েছেন।  আর যাতে কাউকে জেলে যেতে না হয়, তাই ভয় দেখানো হচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা পুলিশের।


আরও পড়ুন- যাদবপুরের নিজের নিযুক্ত অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে সরিয়ে দিলেন রাজ্যপাল, সমাবর্তনের ঠিক আগে অপসারিত


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
https://whatsapp.com/channel/0029VaCBCh6545uwkeNBg11y