সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: রবিবার রাতে জোকার জেমস লং সরণিতে NSG কম্যান্ডোদের আনাগোনা দেখে ভয় পেয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে জানা যায়, আপৎকালীন অবস্থায় কত দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তারই মহড়া চলছে। রাত ১১টার পর জোকা মেট্রো স্টেশনে শুরু হয় NSG-র মক ড্রিল। ঠাকুরপুকুর থানার সহযোগিতায় প্রায় একঘণ্টা ধরে মহড়া চলে। কিছুদিন আগে শিয়ালদা মেট্রোতেও একইভাবে মহড়া দেন NSG কম্যান্ডোরা। একে রুটিন মহড়া বলে NSG-র তরফে জানানো হয়েছে।
এদিকে, আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছে জোকা-এসপ্লানেড মেট্রোর (Joka-Esplanade Metro) কাজ। মোমিনপুর থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের টেন্ডার গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। মেট্রোরেল (Metro Rail) সূত্রে খবর, একাধিক কোম্পানি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় (Tender Process) অংশ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্য়েই শুরু হবে বাছাই পর্ব। জোকা-বিবাদীবাগ মেট্রোর, একাংশ ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। চলতি বছরে এই মেট্রো প্রকল্পের জন্য বাজেটে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। গত বছর এই প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছিল ৭৯৪ কোটি টাকা।
মেট্রো রেল সূত্রে খবর, মোমিনপুর থেকে বিবাদীবাগ রুটের ক্ষেত্রে থাকবে, খিদিরপুর, ভিক্টোরিয়া, পার্কস্ট্রিট ও এসপ্লানেড স্টেশন। উত্তর ও দক্ষিণের লাইনের মেট্রোকে জুড়বে পার্কস্ট্রিট। সূত্রের খবর, রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড এই কাজের জন্য একটি সংস্থাকে নিযুক্ত করবে। ৫ কিলোমিটার এই রাস্তার অধিকাংশটাই থাকবে মাটির নিচে।
মাটির নিচ খুঁজে মেট্রো চলাচল শুরুর প্রসঙ্গটি আটকে ছিল দীর্ঘদিন। একাধিক বাধা-বিপত্তিতে জমি পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল সমস্যা। শেষমেশ খোদ প্রধানমন্ত্রী দফতর ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে কেটে গিয়েছে যে জট। আপাতত তাই দ্রুত মাটির নিচ দিয়ে মেট্রোর কাজ শুরুর কাজ চালুর জন্য সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু হতে চলেছে। এবারে সেই সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ এগোনোর জন্য ডাকা টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হতে চলেছে। আপাতত সেগুলো খতিয়ে দেখতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। প্রসঙ্গত, জোকা তারাতলা মেট্রো সেকশনে যাত্রী শুরু হয়েছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনের দিনেই গুজরাট থেকে পতাকা নেড়ে যে যাত্রার সূচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যদিও যাত্রী পরিষেবা নিয়ে উঠেছে বেশ কিছু প্রশ্ন। বিশেষত, ট্রেন চলার সময় নিয়ে। সঙ্গে যে সেকশনে ইতিমধ্যে মেট্রো চলাচল শুরু হয়েছে সেই সেকশন লাভজনক নয়। তাই অন্য অংশের কাজ শেষ করার জন্য শুরু হয়েছে তোড়জোড়। কাজ শেষ করতে সময় লাগবে। অপেক্ষা সেটাই কবে তা শেষ হবে।