রুমা পাল, জয়নগর: আর জি কর-কাণ্ডের মধ্যেই ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগে রণক্ষেত্র জয়নগর। বিচারের দাবিতে মহিষমারিতে ফের পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। দফায় দফায় বিক্ষোভ, পুলিশকে তাড়া করে ফাঁড়িতে আগুন, বাইক ভাঙচুর। জয়নগর-কাণ্ডের আঁচ কলকাতাতেও, কাঁটাপুকুর মর্গে ধুন্ধুমার। বিরোধী নেতা কর্মীদের মর্গে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। জয়নগরকাণ্ডের আঁচে রণক্ষেত্র মোমিনপুরের কাঁটাপুকুর।
বিকেলে হাসপাতাল থেকে নিহত বালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয় কলকাতার কাঁটাপুকুর মর্গে। আগে থেকেই সেখানে ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। মর্গের সামনে হাজির ছিলেন বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে মর্গের দরজা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। গেটে ধাক্কাধাক্কি। পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠে বিক্ষোভকারীদের মারধর করার অভিযোগও।
বাম নেত্রী দীপ্সিতা ধর বলেন, 'আমাদের পরিষ্কার কথা ছিল যেভাবে আর জি করের ক্ষেত্রে দেহ লোপাট করে প্রমাণ নষ্ট করা হয়েছিল, সেই একই ঘটনা যেন এখানে না হয়। আমরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যেতে চেয়েছিলাম। পুলিশকে কথা দিতে হবে যে এখন ৫টা হয়ে গিয়েছে, এখন আর পোস্টমর্টেম করা হবে না। জুডিশিয়াল নজরদারিতে দেহের ময়নাতদন্ত হোক। কলকাতা পুলিশের প্রতি আমরা ভরসা রাখতে পারছি না। অথচ আমাদের ভিতরে ঢুকতেই দেওয়া হল না। আমাদের মারধর করা হয়েছে। আমাদের একজনের জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের এক কমরেডের মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুজনকে গ্রেফতার করে প্রিজন ভ্যানের মধ্যে মারধর করেছে। কেন ভয়? এখানের স্থানীয় মানুষ এবং সংবাদমাধ্যমের চাপে আর জি কর-এ যা করতে পেরেছিল, এখানে তা করতে পারেনি'।
আরও পড়ুন, ক্ষোভে ফুঁসছে জয়নগর, এলাকায় গিয়ে গ্রামবাসীদের তাড়া খেলেন তৃণমূল বিধায়ক, সাংসদকে 'গো ব্যাক' স্লোগান
শুক্রবার রাতে বাড়ির কাছে জলাজমি থেকে ৯ বছরের বালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। ছাত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার এক, ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত। খুন-অপহরণের ধারা দিলেও ধর্ষণের ধারা দিল না পুলিশ। ময়নাতদন্ত না হওয়ায় ধর্ষণের ধারা বা পকসো আইনে মামলা নয়, এমনটাই জানিয়েছে এসপি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে