কলকাতা: যাদবপুরে (Jadavpur University) রেজিস্ট্রার ও জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে খুনের হুমকি চিঠি (Threat letter)। নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ ২ আধিকারিকের। ছাত্রমৃত্যুতে ধৃত সৌরভ চৌধুরীর হয়ে চিঠি। সৌরভের কোনও ক্ষতি হলে প্রাণনাশের হুমকি। ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করছে পুলিশ। 


 যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় (JU Student Death) সৌরভ চৌধুরী নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশ করে গেলেও তিনি হস্টেলেই থাকতেন। স্বপ্নদীপের বাবার মুখে বারবার উঠে এসেছে এই সৌরভের নাম। তিনি সরাসরি সৌরভের বিরুদ্ধে তাঁর ছেলেকে হেনস্থা করার অভিযোগ তুলেছেন। তদন্তে নেমে এরপরেই  সৌরভকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রর রহস্যমৃত্যুকাণ্ডে বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছিল। তারপর থেকে দফায় দফায় চলেছিল জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।


পুলিশ সূত্রে খবর,'মেন হস্টেলের ১০৪ নম্বর ঘরে ওই ছাত্রকে সামনে বসিয়েই লেখা হয়েছিল চিঠি, জোর করে তাকে দিয়ে সই করানো হয় চিঠিতে'। মানসিক নির্যাতন করার সময় প্রাক্তনী সৌরভ, মনোতোষ, দীপশেখরের সঙ্গে ছিল আরও অনেকে। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ ও বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অজ্ঞাতপরিচয়দের হদিশ পাওয়ার চেষ্টায় পুলিশ (Police)।


সূত্র মারফত খবর,'যাদবপুরের প্রথমবর্ষের ছাত্রর মানসিক হেনস্থা পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে', ধৃতদের জেরা করে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। পরিচয়পর্ব চলার সময়ও ভিডিও তোলা হয়েছিল বলে জেরায় মিলেছে তথ্য। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে ডিলিট করা হয়েছে ভিডিও, অনুমান পুলিশের। হেনস্থার ভিডিও হাতে পেতে ফরেন্সিক ও প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। লালবাজার সূত্রে খবর, ধৃত তিন জনের পাশাপাশি ঘটনার সময় উপস্থিত আরও কয়েকজনের ফোন পুলিশের স্ক্যানারে। 


আরও পড়ুন, 'হেরে যাওয়ার পর যোগাযোগ রাখেনি দল..', মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে গোপন বৈঠক মিতালী রায়ের


প্রসঙ্গত, যাদবপুর পড়ুয়ার মৃত্যু তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছে কমিশন (West Bengal Commission for Protection of Child Rights)। ওই মৃত পড়ুয়ার বাড়িতে যাওয়ার পর রাজ্য কমিশন জানিয়েছে,'যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল যাদবপুরের পড়ুয়াকে। পরিবার জানিয়েছে, গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল। নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছিল প্রথম বর্ষের পড়ুয়াকে। সমকামী বলে দাবি করে একাধিকবার হেনস্থা করা হয়েছিল। অমার্জনীয় অপরাধ, আমরা শেষ দেখে ছাড়ব। অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।'