কলকাতা: রাজারহাটের নারায়ণপুরে ভর সন্ধেয় খুন (Murder Case)। দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাস্তা অবরোধ স্থানীয়দের। জলাশয় ভরাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় খুন, অভিযোগ মৃতের আত্মীয়ের। 'খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল', অভিযোগ মৃতের পরিবারের।
চলতি বছরে মার্চ মাসে কোচবিহার শহরে বেআইনিভাবে পুকুর ভরাট রুখতে তৎপর হয়েছিল প্রশাসন। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান। অবিলম্বে বেআইনি নির্মাণ ভাঙা না হলে নোটিশ দেওয়ার পাশাপাশি বড়সড় জরিমানা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। গোটাটাই আইওয়াশ, তৃণমূলকে বিঁধেছিল সেবার বিজেপি। কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্য়ান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ তখন বলেছিলেন, 'এই পুকুরটা আপনারা বন্ধ করলেন কী করে? আপনারা তো জানেন, জলাশয় বন্ধ করা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ।'
তবে প্রেক্ষাপট আলাদা হলেও সম্প্রতি জমি সিন্ডিকেটের বিবাদের জেরে জোড়া খুন হয়েছিল বজবজে। পলাতক মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের বুথ সভাপতি। জমির দালালিকে ঘিরে ব্যক্তিগত শত্রুতা তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ নিহতদের পরিবারের। এর পর দু'জনকেই গলার নলি কেটে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ সামনে আসে। এই ঘটনায় মোট পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বজবজ থানার অন্তর্গত ৭ নং ওয়ার্ডের খড়িবেড়িয়া এলাকার পণ্ডিতের মাঠের কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। ১১ অগাস্ট, শুক্রবার সেখানে দুই বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত এলাকায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি অসীম বৈদ্য। তাঁর দলবলও এই খুনে যুক্ত বলে অভিযোগ করা হয়েছিল নিহতদের পরিবারের।
আরও পড়ুন, 'বাংলায় BJP-র দুই ভাই, সিপিএম ও কংগ্রেস', অধীর-সেলিমের পাল্টা কুণাল
পুলিশ এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল, নিহত দুই ব্যক্তির নাম মহাদেব পুরকায়স্থ ওরফে পুঁটি এবং গণেশ নস্কর। একজনেপর বয়স ৪২, অন্য জনের ৪৮ বছর। রক্তাক্ত অবস্থায় দু'জনকে উদ্ধার করে খড়িবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। কিন্তু সেখানে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। নিহতদের পরিবারের দাবি, অসীমের সঙ্গে কোনও এক সময় জমির দালালির কাজ করতেন মহাদেব। সেই সময় থেকেই দু'জনের মধ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতা তৈরি হয়। দিন কয়েক আগেও অসীম গিয়েছিলেন মহাদেবের বাড়িতে। তবে কী নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছিল, তা তার পরিবারের লোকজন জানেন না। মহাদেবের পরিবারের দাবি, অসীম খুনের হুমকি দিচ্ছিলেন বলে বাড়িতে জানিয়েছিলেন তিনি।