কলকাতা: বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে হল না RG কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলার শুনানি (RG Kar doctor death case hearing)। বুধবার এই খবর পেয়েই ভেঙে পড়ে মৃত চিকিৎসকের পরিবারের লোকেরা। যদিও তাতে কোনও হেলদোল দেখা যায়নি আন্দোলকারী চিকিৎসকদের মধ্যে। নিজেদের অবস্থানেই অনঢ় রয়েছেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন: Bratya Basu: 'দেশে ঘটলে কেন্দ্রের পুরস্কার ফেরাবেন তো'? আর জি কর নিয়ে শিল্পীদের কটাক্ষ ব্রাত্যর


তাঁদের কথায়, সুপ্রিম কোর্টে যত মামলা পিছবে, মিছিল তত এগোবে। কোনও অবস্থাতেই আর মিছিল ও বিক্ষোভ থামবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁদের দাবিগুলি মানা হবে তখন পর্যন্ত মিছিল এগিয়ে যাবে। মৃত জুনিয়র চিকিৎসক ও তাঁর পরিবার সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই মিছিল থামবে না। 


বুধবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলার শুনানি বৃহস্পতিবার হচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এজলাসে বসবেন না। এই খবর পাওয়ার পরেই ভেঙে পড়ে নিহতের পরিবার।


আরও পড়ুন: RG Kar Case: সেমিনার রুম সংলগ্ন শৌচাগার ভাঙার সিদ্ধান্ত একা সন্দীপ ঘোষের নয়, সম্মতি আসে স্বাস্থ্যভবন থেকে?


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরেই রাজ্য তথা দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। ভারত তথা বিদেশেও পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসে নেতৃত্বাধীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোধ্যায় সরকারের তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। এই মাঝেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই বিষয়ে মামলা দায়ের করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তারপর থেকে সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। এখন সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় মৃতার পরিবারের পাশাপাশি হতাশ হয়েছেন তিলোত্তমার সুবিচারের দাবিতে আন্দোলন করা জুনিয়র চিকিৎসকরা। রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁরা বলছেন, "সু্প্রিম কোর্টে যত মামলা পিছবে ততই বাড়বে আন্দোলনের তেজ।"


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: RG Kar Case: ঘিরে ধরেন ১৫ ডাক্তার, সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা করেন, ফেলে দেওয়া হয় ধাক্কা মেরে, দাবি নির্যাতিতার পরিবারের