কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের পর পরই, সেমিনার রুমের সংলগ্ন শৌচাগার ভাঙা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। হাসপাতালের তদানীন্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নির্দেশেই সেমিনার রুম সংলগ্ন শৌচাগার ভাঙা হয় বলে জানা যায়। সেই নিয়ে এবার নয়া তথ্য সামনে এল। সন্দীপের একার সিদ্ধান্তে নয়, বরং চিকিৎসকদের ডিউটি রুম এবং অ্যাটাচড টয়লেট সংস্কারে স্বাস্থ্যভবনই সম্মতি দিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। (RG Kar Case)


পূর্ত দফতরকে লেখা সন্দীপের একটি চিঠির প্রতিলিপি সামনে এসেছে। আর তাতেই সেমিনার রুম সংলগ্ন শৌচাগার ভাঙায় স্বাস্থ্যভবনের সম্মতির কথা জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার সম্মতিতেই শৌচাগার ভাঙা হয় বলে সন্দীপের সই করা অর্ডারের কপিতে ধরা পড়েছে। গত ১০ অগাস্ট পূর্ত দফতরের সিভিল এবং ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগকে ওই চিঠি দেন সন্দীপ। (Sandip Ghosh)


যেদিন আর জি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়, তার পর দিনই চেষ্ট মেডিসিন বিভাগে সংস্কারের নির্দেশ দেন সন্দীপ। সেই নির্দেশের যে প্রতিলিপি সামনে এসেছে, তাতে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার সম্মতিতেই সংস্কারের সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করতে দেখা গিয়েছে সন্দীপকে। সেমিনার রুমে নির্যাতিতা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পরই সংস্কারের কাজ শুরু হয় পাশের শৌচাগারে। জুনিয়র ডাক্তারদের বাধায় পরে বন্ধ হয়ে যায় সংস্কারের কাজ। প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় সেমিনার রুম সংলগ্ন শৌচাগার ভাঙার অভিযোগ ওঠে।


সেই সময় পূর্ত দফতর জানায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই কাজ হচ্ছে। নির্দেশের যে প্রতিলিপি সামনে এসেছে, তাতে বলা হয়, স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ডিউটি রুম তৈরি করতে হবে চিকিৎসকদের জন্য। সঙ্গে থাকতে হবে অ্যাটাচড বাথরুম। আন্দোলনকারীরা ডিউডি রুম, শৌচাগার নিয়ে দাবি জানিয়ে আসছেন বরাবর। কিন্তু রাতারাতি ওই সিদ্ধান্ত হল কেন, ওঠে প্রশ্ন। এমনকি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও বিষয়টি নিয়ে সরব হন। রাতারাতি ওই সংস্কার করতে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মূর্খামি করেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এর পর মানুষকে আর বোঝানো যাবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এখন জানা গেল, একা ওই সিদ্ধান্ত নেননি সন্দীপ, বরং স্বাস্থ্য দফতরের সম্মতি ছিল তাতে। ফলে গোটা ঘটনায় আবারও স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে।


আরও পড়ুন: RG Kar Case: ঘিরে ধরেন ১৫ ডাক্তার, সাদা কাগজে সই করানোর চেষ্টা করেন, ফেলে দেওয়া হয় ধাক্কা মেরে, দাবি নির্যাতিতার পরিবারের