কলকাতা: আর জি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে ১০ দফা দাবি আদায়ে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশনের আজ দ্বিতীয় দিন। ধর্মতলায় পুলিশ বায়ো টয়লেট বসাতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। 


আমরণ অনশনের আজ দ্বিতীয় দিন: কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট CP-কে গতকাল মেল করে ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের কাছে তাঁদের ধর্নামঞ্চের পাশে দুটি বায়ো টয়লেট বসানোর অনুমতি চান জুনিয়র ডাক্তাররা। বলা হয়, শুধুমাত্র অনশনকারীরাই ওই বায়ো টয়লেট ব্যবহার করবেন। অভিযোগ, পুলিশের তরফে সেই অনুমতি মেলেনি। এমনকী, ধর্মতলায় পুলিশের দুটি মোবাইল টয়লেটও ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে অনশন মঞ্চে ক্ষোভ উগরে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, পুলিশ তাঁদের সুলভ শৌচাগার ব্যবহার করতে বলে। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রশ্ন, এই পরিস্থিতিতে কোনও অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার দায় কে নেবে।


গতকাল রাত থেকে অনশনে বসেছেন SSKM হাসপাতালের অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, তনয়া পাঁজা, স্নিগ্ধা হাজরা, NRS মেডিক্যাল কলেজের পুলস্ত্য আচার্য ও যাদবপুরের KPC মেডিক্যাল কলেজের সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা। রাতে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চেই ঘুমোন অনশনকারীরা। ছিলেন অন্য জুনিয়র ডাক্তাররা। অভিনয় জগতের কয়েকজনও হাজির হন ধর্নামঞ্চে। অন্যদিকে, পুজোর আগে আজ শেষ রবিবার। জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্না-অবস্থানের জন্য ধর্মতলার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাস্তার একটা বড় অংশ ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা। ফলে একদিকে আন্দোলনের চাপ, আরেক দিকে যানজটের মোকাবিলা, তৃতীয়ার দিন পুলিশের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।                                                


হাসপাতালে ড্রাগচক্র, যৌন হেনস্থা, পরীক্ষায় পাস না করানো,  হস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি, ভুরি ভুরি অভিযোগ। থ্রেট কালচারের অভিযোগে আর জি কর মেডিক্যাল থেকে বহিষ্কৃত ১০ জন চিকিৎসক। এই ১০ জন হলেন চিকিৎসক  আশিস পাণ্ডে, সৌরভ পাল, অভিষেক সেন, আয়ুশ্রী থাপা, নির্জন বাগচী, সারিফ হাসান, নীলাগ্নি দেবনাথ, অমরেন্দ্র সিং, সৎপাল সিং ও তনভির আহমেদ কাজি। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: থ্রেট কালচারে কড়া পদক্ষেপ, ১০জনকে আর জি কর থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত