কলকাতা: 'বিএড প্রশিক্ষণ (B ed Training) থাকলেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (Recruitment Process) অংশ নেওয়া যাবে', ২০২২-র প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া বিষয়ে নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly)। সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নতুন করে পোর্টাল খুলতে নির্দেশ বিচারপতির। ৩ সপ্তাহের মধ্যে পোর্টাল খুলে পরীক্ষার্থীদের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। 


সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ...
হালেই প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত দুটি মামলা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে অন্য বিচারপতির এজলাসে পাঠানোর নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, যা নিয়ে তুমুল আলোড়ন তৈরি হয়। পরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'আমি তো নিজে সরাচ্ছি না। সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারে হচ্ছে। একটা ডিসিপ্লিন আছে। সেই অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট সর্বোচ্চ আদালত। সেটা মেনে চলতে হবে।' মামলা সরে যাওয়া নিয়ে তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ২টি মামলা সরানোর কথা বলা হয়েছে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বেঞ্চ থেকে। বাকি নিয়োগ দুর্নীতি মামলাগুলি রয়েছে তাঁর এজলাসে। যদিও এদিন বিচারপতি বলেন, 'আরও দুর্নীতির মামলা রয়েছে, সেগুলো হয়তো আমার হাত থেকে সরে যাবে। আজ যে গ্রাউন্ডে গিয়েছে, সেগুলো সরে যাবে।' 


অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে নিয়োগ-দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা সরিয়ে দেওয়ার খবর সম্প্রচারিত হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আছড়ে পরে মতামতের বন্যা। সন্ধের পরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কপি দেখে জানা যায় ২টি মামলা সরানো হয়েছে। তার আগে থেকেই প্রতিক্রিয়ার তুমুল বন্যা আছড়ে পড়ে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় না থাকলে মামলা ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন অনেকে। এদিন সাংবাদিকদের সামনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, 'আমার মন খারাপ নয়। এই মামলা ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে শুরু করিনি। কোনও ব্যক্তিগত উদ্দ্যেশে শুরু করিনি। ফলে আমার কাছে রইল কী কার কাছে গেল, তা নিয়ে আমার বিশেষ মাথাব্যথা নেই।' চাকরিহারাদের অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন এরপরের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আপনারা অপেক্ষা করুন। মামলা তো শেষ হয়ে যাইনি। মামলা চলেছে। হাইকোর্টের অন্য কোনও জজ তো দেখবেন সেটা।' তিনি আরও বলেন, 'একেবারেই পদত্যাগ করছি না। আমি পালিয়ে যাওয়ার লোক নই।' বিচারপ্রক্রিয়ায় কত সময় লাগবে তা নিয়েও এদিন তিনি মন্তব্য করেন। বলেন, 'আমি আমার স্টাইলে কাজ করেছি। এর পর যে বিচারপতি আসবেন তিনি তাঁর স্টাইল অফ ফাংশানে কাজ করবেন। আমি যে কাজটা ৬ মাসে করছিলাম। সেটা করতে গিয়ে যদি ৬০ বছরও লেগে যায়। তাহলে আমার কিছু বলার নেই। সুপ্রিম কোর্টেরও কিছু বলার নেই।'


আরও পড়ুন:গরমে সুস্থ থাকতে মানতেই হবে কোন কোন নিয়ম? রইল টিপস